কাউকে পাঠানো হয়নি গিলানির কাছে, পাল্টা প্রতিক্রিয়া বিজেপি-র
গতকাল সৈয়দ আলি শাহ গিলানি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, দু'জন লোক তাঁর কাছে এসেছিল। তারা বলে, কাশ্মীর নিয়ে নরেন্দ্র মোদী 'নরম দৃষ্টিভঙ্গি' নেবেন। তিনি এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গিলানি নাকি তাদের পাল্টা বলেন, ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা দেখে মনে হয় না, তিনি কাশ্মীরের ব্যাপারে নমমীয় দৃষ্টিভঙ্গি নেবেন। নরেন্দ্র মোদী হলেন আরএসএসের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ এবং সেই মতাদর্শই তিনি অনুসরণ করবেন।
গিলানির এই দাবি চাউর হওয়া মাত্রই বিতর্ক দানা বাঁধে। বিজেপি এই ঘটনার কথা অস্বীকার করে। দলের তরফে এদিন একটি লিখিত বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, "সৈয়দ আলি শাহ গিলানির বক্তব্য দুরভিসন্ধিতে ভর্তি মিথ্যা কথা। এমন খবর অসৎ উদ্দেশ্যপূর্ণ, ভিত্তিহীন এবং মানুষের মনে সংশয় তৈরি করার জন্য।" পাশাপাশি টুইটারেও তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছে বিজেপি।
শুধু দলের তরফে বিবৃতি দেওয়া নয়, লোকসভা ভোটের আগে অস্বস্তি কাটাতে বিজেপি নেতারা ব্যক্তিগতভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। নীতিন গড়করি বলেছেন, "গিলানি বলেছেন, দু'জন লোক নাকি তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিল। তারা কারা, কোন পদে রয়েছে এগুলো কিন্তু তিনি জানাননি।" তাঁর আরও দাবি, সংবিধানের ৩৭০ ধারা যদি বাতিল করা হয়, তা হলে কাশ্মীরে অনেক উন্নয়ন ঘটবে। একই কথা শোনা গিয়েছে রবিশঙ্কর প্রসাদের মুখেও। তিনি বলেছেন, "সৈয়দ আলি শাহ গিলানির মন্তব্য মিথ্যে। আমরা বলছি, বিজেপি-র কোনও প্রতিনিধি ওঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি। ভুল মন্তব্য করার জন্য আমরা ওঁকে ক্ষমা চাইতে বলছি। কাশ্মীরের মানুষকে বিভ্রান্ত করার এই কাজকে আমরা ধিক্কার জানাই।"
এই ঘটনায় মুখ খুলেছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তিনি টুইট করে বলেছেন, "কে মিথ্যে কথা বলছেন? সৈয়দ আলি শাহ গিলানি নাকি নরেন্দ্র মোদী? জানার সবচেয়ে ভালো উপায়, নরেন্দ্র মোদীর যে প্রতিনিধিরা দেখা করতে এসেছিলেন, তাঁদের শনাক্ত করুন সৈয়দ আলি শাহ গিলানি।"