২০২০-র বিধানসভায় ২২০ আসনের টার্গেট বিজেপির, রিপোর্ট অমিত শাহের নিজস্ব টিমের
২০২০-র বিধানসভায় ২২০ আসনের টার্গেট বিজেপির, রিপোর্ট শাহের নিজস্ব টিমের
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে শেষ হাসি হাসবেন তাঁরাই। ভোটের আগেই ফল নির্ধারণ করে দিলেন অমিত শাহের খাস লোক। এবার বিজেপি ২২০ টি আসন পাবে। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি সামনে এনেছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। অর্থাৎ বিরোধীরা এবার পাত্তাই পাবে না বিজেপি ও তাদের জোট শরিকদের সামনে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে এই রিপোর্ট।
বিজেপি-জোট পাবে ২২০টি আসন!
বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর নিজস্ব চিমকে দিয়ে একটা সমীক্ষা করান প্রতি ভোটেই। সেই সমীক্ষাই বলছে, বিজেপি জোট আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই সমীক্ষা বলছে, বিজেপি-জোট পাবে ২২০টি আসন। তাহলে বাকি রইল মাত্র ২০ আসন। তা ভাগ করে নেবে বিরোধীরা!
ক্ষমতা আসতে চলেছে বিজেপি জোট
করোনা আবহেই বিহার বিধানসভায় ভোট হচ্ছে। সেই ভোটে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বিজেপি। অমিত শাহের দফতরের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বিহারে ২২০ আসন নিয়ে ক্ষমতা আসতে চলেছে এনডিএ। নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে বিজেপি জোট বিহারে সরকার গড়বে। এই দাবির পর বিহারে বিজেপি জোট উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে।
সমীক্ষারও কোনও ভিত্তি নেই, ভুয়ো দাবি
বিরোধী শিবির মনে করছে, এটা নিছকই একটা ভুয়ো দাবি। ওই রিপোর্ট বা সমীক্ষারও কোনও ভিত্তি নেই। ভোটের আগে ফাঁকা আওয়াজ করে ফায়দা তোলার চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়। বিরোধী শিবিরে কোণঠাসা করার জন্যই এই ভুয়ো খবর বাজারে ছড়ানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নাম করে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।
২০১৫-র নিরিখে সমীক্ষার হাল হকিকৎ
বিহারে মোট আসন সংখ্যা ২৪০। তার মধ্যে বিজেপি-জোট ২২০টি আসন পাবে বলে দাবি করেছে। একেবারেই অবাস্তব দাবি। উল্লেখ্য, বিহারে ২০১৫ সালের নির্বাচনে বিজেপি জিতেছিল মাত্র ৫৩টি আসনে। জেডিইউ পেয়েছিল ৭১টি আসন আর আরজেডির আসনসংখ্যা ৮০টি। কংগ্রেস পেয়েছিল ২৭টি আসন। জেডিইউ-কংগ্রেস-আরজেডি মহাজোট গড়ে এই নির্বাচন লড়েছিল। এবার জেডিইউ আর বিজেপি জোটবদ্ধ।
রাজ্যে ভোটের দামামা! এনডিএ-র মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থীতে শিলমোহর লাগালেন মোদী
{quiz_339}