বিজেপির সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া লস্কর জঙ্গির কোনও যোগ নেই! এনআইএ তদন্তের দাবি গেরুয়া শিবিরের
বিজেপির সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া লস্কর জঙ্গির কোনও যোগ নেই! এনআইএ তদন্তের দাবি গেরুয়া শিবিরের
জম্মু থেকে গ্রেফতার হওয়া লস্কর-ই-তইবার জঙ্গি তালিব হুসেনের পরিচয় প্রকাশ্যে আসার পরেই অস্বস্তি বাড়তে শুরু করেছে বিজেপির। তালিব হুসেন জম্মু ও কাশ্মীরে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান ছিল। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিরোধীরা সরব হয়েছেন। গেরুয়া শিবিরের দাবি, তালিব হুসেন কোনওদিন দলের কোনও দায়িত্বে সরাসরি যুক্ত ছিল না। হুসেন দলের শীর্ষনেতাদের হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল বলে জম্মু ও কাশ্মীরের পদ্ম শিবিরের অভিযোগ। এই বিষয়ে তারা এনআইএ তদন্তের দাবি করেছে।
গ্রেফতার জঙ্গির সঙ্গে বিজেপির যোগ অস্বীকার
লস্কর-ই-তইবার জঙ্গি তালিব হুসেনকে জম্মুর গ্রামবাসীরা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। জানা যায়, বিজেপির কর্মী ছিল তালিব হুসেন। শুধু তাই নয়, জম্মুর সংখ্যালঘু মোর্চার আইটি সেল ও সোশ্যাল মিডিয়ার প্রধান ছিল গ্রেফতার হওয়ার হওয়া জঙ্গি। প্রাথমিকভাবে বিজেপির তরফে জানানো হয়েছিল, মে মাসে ১৮ দিনের জন্য বিজেপির কর্মী ছিল হুসেন। পরে বিজেপি ত্যাগ করে সে। কিন্তু বর্তমানে গেরুয়া শিবির তাদের সঙ্গে হুসেনের সমস্ত যোগাযোগ অস্বীকার করেছে। জম্মু ও কাশ্মীরে বিজেপির প্রধান রবিন্দর রায়না বলেন, কখনও তালিব তাঁদের দলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিল না। দলের কোনও দায়িত্বে সে ছিল না। সাংবাদিক সেজে জম্মু ও কাশ্মীরের বিজেপি দফতরে প্রবেশ করত তালিব বলে রায়না দাবি করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, জম্মু ও কাশ্মীরে বিজেপি দফতরের ভিডিও পাকিস্তানে পাঠিয়েছে। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে রাজ্যের শীর্ষস্থানীয় বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করত। তাঁদের হত্যার ষড়যন্ত্র তালিব করেছিল। এই বিষয়ে এনআইএ তদন্তের দাবি তোলেন রায়না।
গ্রামবাসীদের হাতে আটক লস্কর-ই-তইবার জঙ্গি
জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলার তুকসান ধোক গ্রামের বাসিন্দারা লস্কর-ই-তইবার দুই জঙ্গিকে আটক করে। জঙ্গিদের গ্রামবাসীরা পুলিশের হাতে তুলে দেন। জঙ্গিদের কাছ থেকে দুটি রাইফেল, সাতটি গ্রেনেড একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। গ্রামবাসীদের দুই লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসন। পুলিশ সূত্রের খবর, রাজৌরি জেলায় দুটি বিস্ফোরণের ঘটনায় তালিব হুসেন জড়িত। এছাড়া দুই জন সাধারণ নাগরিককে হত্যার অভিযোগ রয়েছে গ্রেফতার হওয়া দুই জঙ্গির বিরুদ্ধে। একমাসের বেশি সময় ধরে পুলিশ ওই দুই জঙ্গির সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছ। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া অস্ত্র সাধারণ নাগরিকদের হত্যার কাজে ব্যবহার করেছিল।