বিজেপি ছাড়াল ১১ কোটি! নিজেদেরকেই প্রতিদ্বন্দ্বী ভেবে নতুন রেকর্ড স্পর্শ করা লক্ষ্য
২০১৯ লোকসভায় বিপুল জয় পেয়ে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে মোদী সরকার। তারপরই বিজেপি পার্টি সদস্য বাড়াতে নয়া উদ্যোগ নিল।
২০১৯ লোকসভায় বিপুল জয় পেয়ে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে মোদী সরকার। তারপরই বিজেপি পার্টি সদস্য বাড়াতে নয়া উদ্যোগ নিল। শনিবার বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা জানান, বিজেপির নতুন সদস্যের সংখ্যা ১১ কোটি ছাড়িয়ে গেল। তাঁদের প্রাথমিক লক্ষ্য ২০ কোটি সদস্য তৈরি করা।
চেয়ারদখল নয়, দেশ আগে
তিনি বলেন, বিজেপি দেশের জন্য কাজ করে। অন্যদলগুলির দেশের জন্য কাজ করার ইচ্ছা নেই। শুধু চেয়ার দখল করাই ওঁদের উদ্দেশ্য। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে সেই চেয়ার দখলের লড়াইয়ে নেমেই মুখ থুবড়ে পড়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। আর এখানেই বিজেপি শত যোজন এগিয়ে। তাই নয়া প্রজন্মও বিজেপির দিকে ঝুঁকছে।
বিশ্বের সবথেকে বড় পার্টি
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেন, ‘আমরা বিশ্বের সবথেকে বড় পার্টি। আমরা কারও সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেই। আমাদের প্রতিযোগিতা নিজেদের সঙ্গে। আমরা এখন নিজেদেরই রেকর্ডই ভাঙছি আর গড়ছি। তেমনই ২০ কোটি সদস্য তৈরি করে আমরা রেকর্ড গড়তে চাই। সেটাই এখন আমাদের টার্গেট।
সাধারণ মানুষ সর্বোচ্চ পদে
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে মোট ১৩০০-রও অধিক রাজনৈতিক দল রয়েছে। তাদের বেশিরভাবই পরিবারতন্ত্রের উপর প্রতিষ্ঠিত। বাবার দলে ছেলে সর্বেসর্বা। আর বিজেপিই একমাত্র পার্টি, যেখানে একজন সাধারণ মানুষ সর্বোচ্চ পদে পৌঁছতে পারে। তিনি উদাহরণ হিসেবে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের কথা তুলে ধরেন। বলেন, এরা সাধারণ পরিবার থেকে এসে রাজনীতির শিখরে পৌঁছেছেন।
নীতি আছে, নৈতিকতা আছে
জেপি নাড্ডার দাবি, ভারতের মধ্যে একমাত্র দল বিজেপি, যাদের নীতি আছে, নৈতিকতা আছে, কর্মীর উপর নির্ভর দল। অন্য কোনও দলে এই জিনিসটা পাবেন না। অন্য দলের নেতারা শুধু চেয়ার চায়। তাঁরা কংগ্রেসমুক্ত ভারতের কথা বলে শুধু কংগ্রেস দলের কথা বলেন না, বলেন দুর্নীতিমুক্ত ভারত গড়ে তোলার কথা।