প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা থাকলেও বিজেপিকে হারিয়ে মধ্যপ্রদেশ জয় সহজ নয় কংগ্রেসের
কয়েকটি সমীক্ষায় কংগ্রেসের পক্ষে ভোটারদের ঘুরে যাওয়া দেখা গেলও কয়েকটি সমীক্ষা আবার বলছে, সেই সংখ্যাটা বিজেপিকে হারানোর মতো নয়।
২০০৩ সাল থেকে একটানা তিনবার মধ্যপ্রদেশে সরকার গড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা প্রথম থেকেই ছিল। কারণ বিরোধী কংগ্রেস অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল মধ্যপ্রদেশে। তবে ধীরে ধীরে সেই চাপ অনেকটা হালকা করে দিতে পেরেছিল বিজেপি। শিবরাজ সিং চৌহানের নেতৃত্বে জেলায় জেলায় গেরুয়া পতাকা পতপত করে উড়েছে।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে হাওয়া পুরোপুরি বিজেপির পক্ষে নয়। ১৫ বছর বিজেপি কম-বেশি করে ভালোই রাজ্যপাঠ ভোগ করেছে। তবে এবার কংগ্রেস আগের চেয়ে অনেকটা শক্তিশালী হয়ে ফিরে এসেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
এবছরের শেষে মধ্যপ্রদেশে ভোট হবে। তার আগে শহরের পুর ভোটে ১৩ জেলায় ১৪টি পুরসভার মধ্যে কংগ্রেস ৯টি জিতে নিয়েছে। এছাড়া মুনগাওলি, কোলারস, আতের ও খাজুরাহোয় বিজেপিকে পরাস্ত করতে সক্ষম হয়েছে কংগ্রেস।
রাজ্যে ভোটারদের একাংশ সরকারের কাজে একেবারেই খুশি নয়। বিশেষ করে কৃষকদের একটা বড় অংশ। তবে সেজন্য বিজেপির হাত থেকে ক্ষমতা কংগ্রেসের হাতে চলে যাবে তেমনটাও নয়। কয়েকটি সমীক্ষায় কংগ্রেসের পক্ষে ভোটারদের ঘুরে যাওয়া দেখা গেলও কয়েকটি সমীক্ষা আবার বলছে, সেই সংখ্যাটা বিজেপিকে হারানোর মতো নয়।
[আরও পড়ুন:তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই! উপায় বাতলে দিলেন অমিত শাহ]
বিজেপির সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, ব্যাপক কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে নানা বিপাকে দল পড়লেও মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের জনপ্রিয়তা বেশ চড়া। অন্যদিকে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, কমলনাথ সহ কংগ্রেস অনেকটাই বিভক্ত অবস্থায় রয়েছে।
[আরও পড়ুন:গরু জাতীয় 'মাতা'! বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ মোদীর দল শাসিত রাজ্যে]
ব্যাপমের মতো এত বড় একটি কেলেঙ্কারিরও কংগ্রেস সুবিধা নিতে পারেনি। এছাড়া কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার মতো মুখ এখনও কেউ নেই। সেটাও কংগ্রেসের পক্ষে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। মূলত বিভক্ত কংগ্রেসই মধ্যপ্রদেশে নিজেদের ভালো ফল করার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হতে পারে। এছাড়া রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে বিজেপি কংগ্রেসের চেয়ে অনেক এগিয়ে। সেটাও বিজেপিকে ভোটে আলাদা অ্যাডভান্টেজ দিতে পারে।
[আরও পড়ুন: রাফায়েল ইস্যুতে সোচ্চার কংগ্রেস, আজ ঘেরাও কর্মসূচিতে নামছে দল]