বাবার পর কে? লালুর পাশে দাঁড়াতেই তরজায় যুযুধান দু’পক্ষ-বিজেপি ও কংগ্রেস
শুধু বিহারের জনতা নয়, সমগ্র ভারতের কৌতুহল ছিল লালুর ভবিষ্যৎ নিয়ে। শেষপর্যন্ত পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির দ্বিতীয় মামলায় শাস্তির মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন লালু। তা নিয়েই শুরু রাজনৈতিক তরজা।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব ফের দোষীসাব্যস্ত হলেন। শুধু বিহারের জনতা নয়, সমগ্র ভারতের কৌতুহল ছিল লালুর ভবিষ্যৎ নিয়ে। শেষপর্যন্ত পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির দ্বিতীয় মামলায় শাস্তির মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন লালু। এই অবস্থায় লালুকে শিখণ্ডি করে কংগ্রেসকেই বিঁধল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
কংগ্রেস জোটসঙ্গী আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিতেই বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব কোমর বেঁধে নেমে পড়ল কংগ্রেসের বিরোধিতায়। লালুপ্রসাদ ও কংগ্রেসকে একই বন্ধনীতে রেখে দুর্নীতি-বাণে বিদ্ধ করলেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ থেকে শুরু করে সুশীল মোদীরা।
এদিন কংগ্রেস মুখপাত্র মণীশ তিওয়ারি সাফ জানিয়ে দেন, 'আমরা বরাবরই বলে এসেছি আইন আইনের পথে চলবে। কিন্তু আদতে আমরা দেখে যাচ্ছি কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থাটি তোতা পাখির মতো একই বুলি আওড়ে যাচ্ছে। এই রায়কে একেবারে পক্ষপাতহীন বলা যাচ্ছে না। আইন যদি কাউকে দোষাসাব্যস্ত করে তা মেনে নিতেই হবে। কিন্তু একান্তভাবেই বিচার হওয়া উচিত পক্ষপাতহীন।' তিনি বলেন, 'শুধু লালুপ্রসাদ নয়, সিবিআই লালু-পুত্র তেজস্বীকেও টার্গেট করছে।'
কংগ্রেসের এই বার্তার পরই বিজেপি লালুকে ছেড়ে কংগ্রেসকেই টার্গেট করে। বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুশীল মোদী বলেন, 'জেলে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আজ বাবা গেলেন, পরের জন কে, নতুন করে বলতে হবে না। পুরো পরিবারটাই দুর্নীতিতে জড়িত। তিনি বলেন, আজ চারা, তার পরের জনই লারা।'
কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, 'আইন আইনের পথেই চলে। আইনের কাছে সব দুর্নীতিই জব্দ। দুর্নীতি করে আইনের চোখে কখনো ছাড় পাওয়া যায় না। তার প্রমাণ লালুপ্রসাদ যাদব। আর কংগ্রেসও যে দুর্নীতিবাজ দল, তা লালুপ্রসাদের মতো দুর্নীতিপরায়ন নেতাকে সমর্থন করেই বুঝিয়ে দিয়েছে।' কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা বলেন, 'কংগ্রেস ও লালুপ্রসাদ যাদবের মধ্যে জোট বাঁধার পিছনেও দুর্নীতির কালো ছায়া রয়েছে। ওদের জোট দুর্নীতির জোট।'
আরজেডি নেতা রঘুবংশপ্রসাদ সিং বলেন, 'সিবিআই আদালতের এই রায় যে সম্পূর্ণ পক্ষপাতদুষ্ট, তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে এক জনের জেল, আর একজনের জামিনে। সবই আসলে বিজেপির ষড়যন্ত্র। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব। এই রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে যাব। তাঁদের নেতা লালুপ্রসাদ যাদব সম্পূর্ণ নির্দোষ। একদিন সত্যের জয় হবেই।' জেডিইউ নেতা কেসি ত্যাগী বলেন, 'আদালত এই ফয়সালা করেছে। এর পিছনে আমাদের দলের বা বিজেপির কোনও হাত নেই। ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে আরজেডি।'