ছত্তিশগড় বিধানসভা নির্বাচন: একবছর আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু বিজেপি-কংগ্রেসের
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি আসন সংখ্যা বাড়িয়ে নিতে পারলেও কংগ্রেসের কাছে ছত্তিশগড় হারিয়েছিল তারা। মধ্যে প্রায় ৪ বছর কেটে গিয়েছে। একবছর পরেই ছত্তিশগড়ে ভোট। যার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেসও পিছি
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি আসন সংখ্যা বাড়িয়ে নিতে পারলেও কংগ্রেসের কাছে ছত্তিশগড় হারিয়েছিল তারা। মধ্যে প্রায় ৪ বছর কেটে গিয়েছে। একবছর পরেই ছত্তিশগড়ে ভোট। যার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেসও পিছিয়ে নেই। ক্ষমতা ধরে রাখতে তারাও বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে।
হেরে যাওয়া আসনে গুরুত্ব
২০১৮-র বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস যেসব আসন হারিয়েছিল, সেইসব আসনগুলিতে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছে। কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মোহন মারকাম সেইসব বিধানসভাগুলি পরিদর্শন করেছেন। ২ অক্টোবর বুথস্তরে পদযাত্রা বের করার পরিকল্পনাও তারা করেছে। গান্ধী জয়ন্তীকে চিহ্নিত করতেও তারা এদিন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছে।
রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রচার
কংগ্রেসের পদযাত্রার লক্ষ্য হল মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের নেতৃত্বে ছত্তিশগড় সরকার যেসব প্রকল্প চালাচ্ছে তা সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরে এবং সেই প্রকল্পগুলি থেকে তারা কতটা সুবিধা পেয়েছেন তা নিয়ে মত বিনিময় করা।
সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচারে নামানোর পরিকল্পনা
নির্বাচন সামনে আসলে অনেকেই দলের প্রার্থী হওয়ার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন। সেইসব নেতাদের কাছে ২ অক্টোবরের যাত্রা যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ। কংগ্রেস সূত্রে খবর, দলের অনেক নেতাকেই এই পদযাত্রা সফল করার জন্য পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁদেরকেও বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট দেওয়া যেতে পারে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, যাত্রা শেষ হলে সম্ভাব্য প্রার্থীদের একটা তালিকা সামনে আসতে পারে। যা নিয়ে আগেভাগেই জোরদার প্রচার শুরু করতে পারে কংগ্রেস।
পিছিয়ে নেই বিজেপি
তবে পিছিয়ে নেই বিজেপিও। ৬ অক্টোবর ধামতরি জেলার গ্যাংরেলে বিজেপি দলীয় বৈঠকের আয়োজন করেছে। সেই বৈঠকে বিজেপির তরফে দলের সাধারণ সম্পাদক শিবপ্রকাশের পাশাপাশি রাজ্যের নবনিযুক্ত নেতা ওম মাথুর থাকবেন। এছাড়াও রাজ্যের অন্য নেতারাও থাকবেন সেই বৈঠকে। বিজেপির বৈঠকে আগামী তিন মাসের জন্য দলের প্রচার পরিকল্পনা এবং রাজ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা হবে। বৈঠকে রাজ্যে চালু থাকা প্রধানমন্ত্রী আবাসন প্রকল্প, ধর্মান্তর, আদিবাসী সংরক্ষণ এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি-সহ বিষয়টি নিয়ে দলের নেতাদের মতামত শুনবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সেই অনুযায়ী পরবর্তী পরিকল্পনা করা হবে।
মূল ফোকাস কোথায়? কংগ্রেসের কাছে সভাপতি নির্বাচনের গুরুত্ব কতটা, বোঝালেন জয়রাম রমেশ