বিজেপি-কংগ্রেসের পথের কাঁটা ওঁরাই! রাজস্থানে অন্তত ৫০ আসনে সিঁদুরে মেঘ
শিয়রে ভোট। তার আগে দুই প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী দলই জেরবার বিদ্রোহের চোটে। শুধু বিদ্রোহে ক্ষান্ত নন তাঁরা। নিজের দলের বিরুদ্ধেই নির্দল হিসেবে নেমে পড়েছেন লড়াইয়ে।
শিয়রে ভোট। তার আগে দুই প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী দলই জেরবার বিদ্রোহের চোটে। শুধু বিদ্রোহে ক্ষান্ত নন তাঁরা। নিজের দলের বিরুদ্ধেই নির্দল হিসেবে নেমে পড়েছেন লড়াইয়ে। হিসাব বলছে, রাজ্যের অন্তত ৫০টি আসনে এই বিদ্রোহী প্রার্থীরাই দুই দলের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। তাই বিধানসভা ভোটের আগে কপালে চিন্তার ভাঁজ বিজেপি-কংগ্রেস দুই দলেরই।
পথের কাঁটা বিদ্রোহীরা
সম্প্রতি চারমন্ত্রী-সহ ১১ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি, এছাড়া বিদ্রোহের তালিকায় রয়েছেন আরও অনেক নেতা-মন্ত্রী। শুধু বিজেপিই নয়, একই রোগ ধরেছে কংগ্রেসেও। ঘরোয়া কোন্দল লেগেই রয়েছে। দুই গোষ্ঠীই সক্রিয়। এই অবস্থায় পথের কাঁটা হয়ে দেখা দিয়েছেন বিদ্রোহী নেতারা। জয় পেতে এই কাঁটা তোলাই এখন মূল লক্ষ্য প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের।
৫০ আসনে ত্রিমুখী লড়াই
রাজস্থানে মোট আসন সংখ্যা ২০০। তার মধ্যে অন্তত ৫০টি আসনে ত্রিমুখী লড়াই হতে চলেছে। তৃতীয় কোনও দল এখানে ফ্যাক্টর নয়। এখানে ফ্যাক্টর নিজের জলের বিদ্রোহীরাই। তাঁরাই নির্দল হয়ে এখন চ্যালেঞ্জার হয়ে উঠেছে। ফলে প্রবল চাপে রয়েছে বিজেপি ও কংগ্রেস। কোন উপায়ে এই কাঁটা তোলা সম্ভব, তাই খুঁজে চলেছেন বসুন্ধরা রাজে, শচীন পাইলটরা।
এক আসনে দুই গোঁজ
মারওয়ার আসনে বিজেপির মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েচেন রাজ্যেরই প্রাক্তন মন্ত্রী সুরেন্দ্র গোয়েল ও লক্ষ্মীনারায়ণ দাভে। সুরেন্দ্র গোয়েল তো ভোটের ঠিক আগেই দল ছেড়েছিলেন। কিন্তু তাঁদেরকে বুঝিয়েও লাভ হয়নি। কেউই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেননি। ফলে এই কেন্দ্রে দুই গোঁজকে নিয়েই এবার চলতে হবে বিজেপিকে।
কোন্দল থামানো যায়নি তাই বহিষ্কার
একে প্রতিষ্ঠানবিরোধী হাওয়া বইছে, তার উপর বিদ্রোহের চোরস্রোত চলছিল দলের অন্দরে। তাই কোন্দল রুখতে না পেরে ১১ জন নেতাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিতে হল বিজেপিকে। ভোটের আগে এই ঘটনা এবার প্রভাব ফেলবেই দলে। টিকিট বিতর্কেই এই কোন্দল প্রকাশ্যে আসে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তা চাপা দিতে পারেনি বিজেপি। তাই এবার ভোটের লড়াইয়ে বিদ্রোহীরাও।
কংগ্রেসেও ধিকধিক জ্বলছে বিদ্রোহের আগুন
শুধু শাসকদল বিজেপি নয়, কংগ্রেসেও বইছে বিদ্রোহের চোরাস্রোত। প্রাক্তন বিধায়ক ভীমরাজ ভাতি, কুশবীর সিং-রা দলের বিরুদ্ধেই নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। বিধায়ক কুম্ভ সিং, পাপ্পু সিংরাও বিপদ বাড়িয়েছেন কংগ্রেসের। যখন রাজনৈতিক মহল এবার কংগ্রেসকে রাজস্থানে অনেকটাই এগিয়ে রাখছে, তখন এই বিদ্রোহ বুমেরাং হয়ে দেখা দিতে পারে।