মমতা-মোদী অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে দ্বারস্থ নির্বাচন কমিশনের
বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনা করে জানিয়েছেন, উনি যে ধরণের ভাষা ব্যবহার করছেন তা কখনওই বাংলার রাজনীতির ঐতিহ্য নয়। এবং একজন মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এধরণের ভাষা শোভা পায় না। স্পষ্টতই এটা নির্বাচনের আচরণবিধির লঙ্ঘনের সামিল।
এদিকে রবিবার থেকেই নরেন্দ্র মোদীকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো। রবিবার তিনি অভিযোগ তোলেন, নরেন্দ্র মোদী বাংলায় হিংসা সৃষ্টি করতে চাইছেন, রাজ্যে বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসার বীজ পুঁততে চাইছেন তিনি। সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁতে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে উঠেও একই বক্তব্যে জোর দেন মমতা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যে মানুষ এধরণের কথা বলেন তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কোনও অধিকার নেই। ওঁকে জেলে ঢোকানো উচিত। বাকিরা কে কি বলছে আমি জানি না, কিন্তু আমরা 'অন দ্য রেকর্ড' বলতে পারি ওনার জেল হওয়া উচিত। এমনকী মোদীকে 'কমরেড দাঙ্গাবাজ' বলেও মন্তব্য করেন মমতা।
২৭ এপ্রিল এবং ৪ মে দুটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে উঠে মোদী বলেন, সমস্ত বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীকে তল্পিতল্পা গুটিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে যেতে হবে। তারই প্রেক্ষিতে মোদীকে কড়া সমালোচনা করেন মমতা। মমতা বলেছিলেন, নরেন্দ্র মোদী ইতিহাস জানেন না উনি বিভাজনের রাজনীতি খেলছেন। এর পাশাপাশি অসমের হিংসার ঘটনায় মোদীর বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন মমতা।
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন জানিয়েছেন, তাঁরা ফাইজাবাদে মোদীর জনসভার একটি ভিডিও ফুটেজ পেয়েছেন যাতে ধার্মিক স্থানের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর প্রতিকৃতিও রয়েছে। যা সংশ্লিষ্ট ধর্মের মানুষের ভাবাবেগকে আহত করেছে। একইসঙ্গে ধর্ম-সম্প্রদায়কে হাতিয়ার করে ভোট চাওয়ার জন্য নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তৃণমূলের তরফে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।