বিজেপির নীতিতে 'পরিবর্তন'! মন্দির ছেড়ে অ-মুসলিম ভোট এক জায়গায় করতে নতুন উদ্যোগ
বিজেপির নীতিতে কার্যত পরিবর্তন। দেশ যত ২০১৯-এর সাধারণ নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে, মোদী বনাম রাহুলের যুদ্ধে পরিণত হচ্ছে।
বিজেপির নীতিতে কার্যত পরিবর্তন। দেশ যত ২০১৯-এর সাধারণ নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে, মোদী বনাম রাহুলের যুদ্ধে পরিণত হচ্ছে। ফলে উত্তর প্রদেশে এসপি-বিএসপি সমঝোতা থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে এখন সরাসরি রাহুল গান্ধীর দিকেই দৃষ্টি দিতে কার্যত বাধ্য হচ্ছে মোদীর দল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরাসরি কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তিন তালাক ইস্যুতে মুসলিম মহিলাদের কাছে পৌঁছে যাওয়া নয়, বরং সংখ্যালঘু ভোট বিভাজনের দিকে দৃষ্টি দিচ্ছে বিজেপি।
দিল্লির সংস্থা সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অফ ডেভেলপিং সোসাইটিস-এর গবেষণা অনুযাযী ২০১৪-এর লোকসভা ভোটের ফলাফল পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে সর্বভারতীয় ভিত্তিতে বিজেপির দিকে কিছু মুসলিম ভোট গিয়েছে। সেটা কম করে হলেও আট শতাংশের মতো। যা ২০০৯ সালের থেকে দ্বিগুণের মতো।
যদিও এর আগেও মুসলিমরা বিজেপি পক্ষে ভোট দিয়েছে। ১৯৯৮, ১৯৯৯ এবং ২০০৪ সালে সারা দেশে প্রায় ৭ শতাংশ মুসলিম ভোট গিয়েছিল বিজেপির পক্ষে।
অন্যদিকে, কংগ্রেস এবং তার সহযোগীরা ২০১৪-তে প্রায় ৩৮ শতাংশ মুসলিম ভোট পেয়েছিল। যা ২০০৯-এর প্রায় সমান।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপি ইতিমধ্যেই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর নরম হিন্দুত্বের পাল্টা দিতে শুরু করেছে। গুজরাত ও কর্ণাটকের ভোটের সময় রাহুল গান্ধী মন্দিরে মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী মুসলিম পুরুষদের নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নাম না করে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করেছেন। কিন্তু তাঁর মূল লক্ষ্য ছিল এসপি-বিএসপির দলিত ও ওবিসি ভোট ব্যাঙ্ক। যদি কংগ্রেস এসপি ও বিএসপির সঙ্গে সমঝোতা করে, বিজেপি তাহলে উত্তর প্রদেশে ২০১৪-র লোকসভা এবং ২০১৭-র বিধানসভা নির্বাচনের মতো অ-মুসলিম ভোট এক জায়গায় করার চেষ্টা করবে। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
সমাজ বিজ্ঞানীদের একাংশ বলছেন, মোদীর বক্তব্যে নাম না করে রাহুল গান্ধীকে যত না আক্রমণ করেছেন, তার থেকে বেশি বলেছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে লিঙ্গ সমস্যা নিয়ে। বিরোধীরা যেমন ভাবে জোট বাধবে, যদি কংগ্রেস এই জোটের অংশ হয়, মুসলিমরা তেমন ভাবেই ভোট দেবে।