রাজস্থান-শো দেখে ভীত উদ্ধব? গদি বাঁচাতেই কি লাদাখ-করোনা ইস্যুতে শিবসেনার পাল্টা তোপ কেন্দ্রকে
করোনায় জর্জরিত দেশ। ক্রমেই ৯ লক্ষ করোনা কেসের দিকে এগোচ্ছে দেশ। পাশাপাশি উত্তরে ভারতের সঙ্গে লাদাখ নিয়ে চিনের সংঘাত জারি রয়েছে। এরই মাঝে দেশজুড়ে গত কয়েকদিন ধরে আলোড়ন দেখা গিয়েছে রাজস্থানের রাজনীতি ও সচিন পাইলটকে নিয়ে। আর এই রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরির জন্য বিজেপিকে দোষারোপ করল শিবসেনা।

বিজেপির পরবর্তী টার্গেট মহারাষ্ট্র?
শিবসেনার মুখপত্র সামনাতে এই বিষয়ে একটি সম্পাদকীয় প্রকাশ করা হয়। কেন্দ্রকে লাদাখের পরিস্থিতি ও করোনা সংক্রমণ নিয়ে আক্রমণ করা হয় সেখানে। এদিকে অনেক বিশেষজ্ঞের মত যে শিবসেনার এই কেন্দ্র বিরোধিতার মূল কারণ নিজেদের সরকার নিয়ে ভয়ে থাকা। কারণ উদ্ধবের এখন ভয়, মধ্যপ্রদেশের পর রাজস্থানের সরকার পাল্টানোর নেপথ্যে বিজেপির নাম ওঠআর পর এবার টার্গেট হতে পারে মহারাষ্ট্র।

মধ্যপ্রদেশের রিক্যাপ রাজস্থানে?
সচিন পাইলটের বিদ্রোহ অনেককেই মনে করিয়ে দিয়েছে কয়েক মাস আগে মধ্যপ্রদেশে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার দলবদলকে। সেবারে কগ্রেসের ২২ জন বিধায়ক নিয়ে পদ্ম শিবিরমুখী হয়েছিলেন সিন্ধিয়া। যার জেরে মধ্যপ্রদেশে কমলনাথের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটে। অশোক গেহলটের পরিস্থিতিও সেরমই হবে বলে মনে করেছিল অনেকে। তবে অশোক তৈরি ছিলেন।

সরকার বাঁচাতে কতটা তৈরি উদ্ধব?
কিন্তু তেপায়া মারাঠা সরকার বাঁচাতে কতটা তৈরি উদ্ধব? মহাআগাড়ি জোটে সামান্য মনোমালিন্য হতেই পাওয়ারকে কাছে পাওয়ার চেষ্টা শুরু করে এনডিএ জোট। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন প্রতিমন্ত্রী রামদাস আটওয়ালে জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি বা এনসিপিকে এনডিএ জোটে যুক্ত হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।

মহাআঘাড়ি জোটে চিড়
সূত্রের খবর, গত মাস থেকেই কখনও বিধান পরিষদের আসন ভাগাভাগি হোক বা কখনও করোনা মোকাবিলায় সরকারি পদক্ষেপ, একাধিক ইস্যুতে মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস-এনসিপি-শিবসেনার জোট সরকারের মধ্যে বেশ কিছু ফাটল দেখা যায়। এবার সেই ফাটলকেই আরও চেষ্টা করছে এনডিএ শিবির। ইতিমধ্যেই নতুন জোট গঠনের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে আটওয়ালের তরফে।

গদি হারানোর ভয়?
সূত্রের খবর, গত কয়েকমাস থেকে একটু একটু করে সম্পর্কের অবনতি হয়ে কংগ্রেস ও শিবসেনার সম্পর্কের। কংগ্রেসের একাধিক নেতার অভিযোগ সরকারি ইস্যু নিয়ে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গেই শুধু আলোচনা করছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। কংগ্রেসের মনে হচ্ছে, তাদেরকে ক্রমেই কোণঠাসা করে বের দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

চলছে তুষ্টিকরণের রাজনীতি
এদিকে লাদাখ ইস্যুতেও চিন প্রসঙ্গে কংগ্রেসকে ইতিহাস স্মরণ করিয়ে তোপ দাগতে দেখা যায় শরদ পাওয়ারকে। এদিকে মহারাষ্ট্রের জোট নিয়ে সম্প্রতি রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের পর জল আরও ঘোলা হয়। মহারাষ্ট্রের সরকারকে কংগ্রেসের সমর্থন ও পাঞ্জাব, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থানে কংগ্রেসের ক্ষমতায় থাকার মধ্যে গুণগত পার্থক্য আছে বলে বক্তব্য রাখেন তিনি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে এমতাবস্থায় ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে এনডিএ শিবির। তবে এবার কংগ্রেসকে খুশি রাখতে ও জোট অটুট রাখতে লাদাখ নিয়ে বিজেপিকে তোপ দাগার পথে হাঁটল শিবসেনা।
