সিএএ-এনপিআরের পর তৈরি রয়েছে বিজেপির অ্য়াজেন্ডা! বিরোধীরা সেই ড্রেসিংরুমে 'বন্দি'
সিএএ-এনপিআরের পর মূল অ্যাজেন্ডা কী বিজেপির! বিরোধীরা তো ড্রেসিংরুমে বন্দি
২০১৯ লোকসভায় জিতে ফের ক্ষমতায় এসেছে নরেন্দ্র মোদী- অমিত শাহের বিজেপি। বিরোধীদের কাছে যখন ভুরি ভুরি ইস্যু ছিল, তখন এক সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে বিরাট জয় ছিনিয়ে এনেছেন মোদী। টানা দ্বিতীয়বার কুর্সিতে বসেই তাই সেনাপতি অমিত শাহকে নিজের সরকারে এনেছেন। তারপরই একের পর এক বোমা।
অবস্থান-বিক্ষোভে কিস্যু এসে যায় না
তারপরই তিন তালাক আইন, ৩৭০ ধারা রদ, রাম মন্দির নির্মাণের পথ সুগম করা এবং শেষে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন বা সিএএ। বিরোধীরা গর্জে উঠলেও সেই প্রতিবাদ দানা বাঁধেনি। বিরোধীরা সংঘবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদে সামিল হতে পারেনি। শুধু দিল্লির শাহিনবাগ বা লখনউয়ের ক্লক টাওয়ারে অবস্থান-বিক্ষোভে কিস্যু এসে যায় না।
লক্ষ্য স্থির করে ফেলেছে বিজেপি
সিএএ, এনপিআর ও এনআরসি-র বিরুদ্ধে নাগরিকরা প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে থাকতে পারে, তবে বিরোধী নেতারা এখনও তাদের ড্রয়িংরুমে রয়েছেন, এখনও তাদের পক্ষে মতামত মূল্যায়ন করছেন। তাহলে বিজেপি তো ফ্রন্টফুটে খেলবেই। তাই এর পরবর্তী লক্ষ্যও স্থির করে ফেলেছে বিজেপি।
ফের নতুন এক ইস্যু আসতে চলেছে
স্বভাবতই প্রশ্ন জাগছে বিজেপির নতুন মূল অ্যাজেন্ডা কী? প্রথমটি হ'ল অবশ্যই সিএএ-এনআরআসি। মোদি এবং শাহ একদিনে সিএএ সম্পর্কে কতবার কথা বলেছেন তা গণনা করুন। এনআরসি এখন বলেছে, এটি ভবিষ্যতে কার্যকর করা হবে না। আসলে এনআরসি হ'ল বিজেপির আর একটি অযোধ্যা, যা অবিলম্বে সমাধান করতে হবে না। এটি দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক ইস্যু হতে চলেছে।
দ্বিতীয় কোর ইস্যু নিয়েও প্রত্যয়ী বিজেপি
দ্বিতীয় কোর ইস্যু হতে চলেছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতি। বিজেপির রাজনৈতিক সম্ভাবনার দিক দিয়ে এটিকে নতুন ইউনিফর্ম নাগরিক কোড বলা যায়। প্রধানমন্ত্রী মোদী গত বছরের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে জনসংখ্যা বিস্ফোরণ সম্পর্কে তাঁর উদ্বেগ ব্যক্ত করেছিলেন। এখন জনসংখ্যা নীতি নিয়ে বিরোধী শিবিরে ফাটল ধরানোর প্রত্যাশাও করে বিজেপি।
মোদীর মুখোশ পরে কেজরিওয়ালের মিছিলে হাঁটলেন টিকটক স্টার, শোরগোল সোশ্যাল মিডিয়ায়