অমিত শাহের নির্বাচনী প্রচারে গুজরাত দাঙ্গার প্রসঙ্গ, রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে বিজেপি!
অমিত শাহের নির্বাচনী প্রচারে গুজরাত দাঙ্গার প্রসঙ্গ, রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে বিজেপি!
গুজরাতের নির্বাচনী প্রচারে গুজরাত দাঙ্গার প্রসঙ্গ টেনে আনলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শনিবার একটি প্রচারে তিনি বলেন, গুজরাত দাঙ্গার জন্য যারা দায়ী ছিলেন, তাঁরা ইতিমধ্যে ভালো শিক্ষা পেয়েছেন। সাম্প্রদায়িক হিংসার পরে শান্তিতে রাজ্যের বাসিন্দারা বাস করছেন। গুজরাতে ১ ও ৫ ডিসেম্বর বিধানসভা নির্বাচন।
নির্বাচনী প্রচারে গুজরাত দাঙ্গা প্রসঙ্গ
গুজরাতের খেদা জোর মহুধা শহরে একটু জনসভায় অমিত শাহ বলেন, গুজরাতে কংগ্রেসের শাসনকালে সাম্প্রদায়িক হিংসা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল। কংগ্রেসের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতারা একে অন্যের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য উস্কানি দিত। বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছিল রাজ্যে। গুজরাতে উন্নয়নের কোনও পরিস্থিতি ছিল না। এই ধরনের সাম্প্রদায়িক হিংসার উস্কানি গুজরাত দিত শুধু ভোট ব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়ে। যার ফলে কংগ্রেস গুজরাতের একটা বড় অংশের মানুষের বিরুদ্ধে অবিচার করেছে।
রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে গুজরাত
শনিবার জনসভা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ভারুচে অনেক দাঙ্গা হয়েছে। কিরফিউ হয়েছে। গুজরাতে ১৯৯৫ সালের আগে কোনও উন্নয়ন হয়নি। ২০০২ সালে সাম্প্রদায়িক হিংসার পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু আমরা তাঁদের উপযু্ক্ত শিক্ষা দিয়েছি। যারা গুজরাতে দাঙ্গা চেষ্টা করেছিলেন, তাঁদের আমরা জেলে ঢুকিয়ে দিয়েছি। ২০০২ সালের পর থেকে আমরা একটা কারফিউ জারি করিনি। বিজেপি এমন একটা রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছে, যেখানে ঘন ঘন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে।
গুজপাত দাঙ্গার সূত্রপাত
গুজরাতের তিন দিনের সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন। গোধরায় তীর্থযাত্রীদের ট্রেনের কামরায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার জেরে ৫৯ জন কর সেবকের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর গুজরাত জুড়ে হিংসার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। গুজরাত দাঙ্গার জন্য তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে বর্তমানে তিনি সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। চলতি বছর সুপ্রিম কোর্টে গুজরাত দাঙ্গায় একটি হত্যাকাণ্ড মামলার নরেন্দ্র মোদীর যুক্ত থাকার অভিযোগ সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে।
গুজরাত নির্বাচনে আপের প্রচার
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জোর প্রচার শুরু করেছেন গুজরাতে। গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারের জন্য রাহুল গান্ধী সাময়িকভাবে তাঁর ভারত জোড়ো যাত্রা স্থগিত করছেন। অন্যদিকে, গুজরাত নির্বাচনে জোর কদমে প্রচার শুরু করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আপ এবার গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনের প্রতিটি আসনে প্রার্থী দিয়েছেন। গুজরাত নির্বাচনে আপ নিজেদের বিজেপির প্রধান বিরোধী বলে দাবি করছেন।
হঠাৎ রাতে মিঠুন চক্রবর্তীর সভাস্থলে তৃণমূল বিধায়ক! মমতার পর আরও এক সৌজন্যের নজির বাংলায়