কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ বিজেপির, তবে ১৯৯১-র বাজেট বক্তৃতায় কী বলেছিলেন মনমোহন?
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ বিজেপির, তবে ১৯৯১-র বাজেট বক্তৃতায় কী বলেছিলেন মনমোহন?
রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের টাকা 'নয়ছয়ের’ অভিযোগে ক্রমেই জমে উঠেচে বিজেপি-কংগ্রেস তরজা। এবার ১৯৯১ সালে অর্থমন্ত্রী থাকার সময় প্রায় ১০০ কোটি টাকা গড়মিলের অভিযোগে এবার মনমোহন সিংকে দূষল ভারতীয় জনতা পার্টি।
প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলের টাকা নিয়ে বিশ্বাঘাতকতা করেছে কংগ্রেস, দাবি বিজেপির
এদিকে আজ সারাদিনই রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের টাকা তছরুপের অভিযোগে কংগ্রেস নেতৃত্ত্বাধীন ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগতে দেখা বিজেপিকে। প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলের সাধারাণ মানুষের টাকা কংগ্রেস সেই সময় পারিবারিক সম্পত্তি ভেবে বসেছিল বলেও এদিন অভিযোগ করেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। একইসাথে রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের মাথায় বসে সাধারণ মানুষের সাথে দিনের পর দিন সোনিয়া গান্ধী বিশ্বাসঘাতকতা করে গেছেন বলেও এদিন অভিযোগ করেন নাড্ডা।
আরজিএফ-র টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে এবার বিজেপির নিশানায় মনমোহন
এদিকে সোনিয়ার পর বিজেপির নিশানায় এবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। ১৯৯১ সালে দেশের অর্থমন্ত্রী থাকার সময় ‘অবৈধভাবে' মনমোহন সিং রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে(আরজিএফ) ৫ বছর ধরে ১০০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছে গেরুয়া শিবির। সম্প্রতি বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ দাবি করেছেন, ২০০৫-২০০৬ সালে রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে আর্থিক অনুদান দিয়েছে ভারতের চিনা দূতাবাস। শুধু তাই নয়, ওই সংস্থায় চিন সরকারের কাছ থেকে নিয়মিত টাকা আসে বলেও দাবি করেছেন তিনি। একইসাথে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাও দাবি করেছেন, চিন থেকে ৩ লক্ষ মার্কিন ডলার অনুদান পেয়েছে সংস্থাটি।
১৯৯১-র বাজেট বক্তৃতায় কী বললেন মনমোহন
এদিকে সেই সময় বিরোধী দলের গুলির কোন্দলের জেরে বাজেট থেকে বরাদ্দকৃত তহবিল আরজিএফ-এ বিতরণ করা যায়নি বলে জানা যায়। ১৯৯১ সালের ২৪শে জুলাই তদানন্তীন অর্থমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাজেট বক্তৃতায় এই বিষয়ে বিশদে উল্লেখও আছে। সেই সময় মনমোহন সিং বলেন, " মহান নেতা রাজীব গান্ধীকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে এবং তাঁর আদর্শের প্রতি কুর্নিশ জানাতেই রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন তৈরি করা হয়েছে। এই ফাউন্ডেশন, অন্যান্য বিষয় গুলির মধ্যে উন্নয়ন, সাক্ষরতার প্রচার, পরিবেশ সংরক্ষণ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং জাতীয় সংহতকরণ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রচার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রয়োগ সম্পর্কিত গবেষণা ও কর্মসূচিতে বিশেষ জোর দেবে। সুবিধাবঞ্চিত, মহিলা ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি প্রশাসনিক সংস্কার এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ভারতের ভূমিকা রাখতেও বিশেষ ভাবে সাহায্য করবে এই তহবিল।"
কী কারণে অর্থ বরাদ্দের ঘোষণা করেছিলেন মনমোহন সিং ?
এছাড়াও ভারত সরকারের তরফে আর্থিক অনুদান সেই সময় স্পষ্ট ভাষায় গোটা হিসেব তুলে দেন মনমোহন সিং। বাজেট বক্তৃতাতেই তিনি বলেন, "প্রয়াত শ্রী রাজীব গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা এবং ফাউন্ডেশনের প্রশংসনীয় উদ্দেশ্যগুলির সমর্থনে, সরকার পাঁচ বছরের সময়কালের জন্য বাৎসরিক ২০ কোটি টাকা হারে ফাউন্ডেশনে ১০০০ কোটি টাকা অনুদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।" যদিও এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস তথা সোনিয়া গান্ধী এবং এখন মনমোহন সিংয়ের উপর বেনজির আক্রমণের পথে হাঁটতে দেখা যায় বিজেপির জাতীয় মুখমাত্র সম্বিত পাত্রকে। আরজিএফ-কে কংগ্রেসের একাধিক দুর্নীতির মধ্যে অন্যতম দৃষ্টান্ত বলেই আখ্যাদেন তিনি।
করোনায় আক্রান্ত কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনুসিংভি, সংক্রামিত তাঁর স্ত্রীও, গোটা পরিবার কোয়ারেন্টাইনে