গডসে 'দেশভক্ত' মন্তব্যে দলের চাপে ক্ষমা চাইলেন সাধ্বী প্রজ্ঞা
মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসে 'দেশভক্ত' মন্তব্যের জন্য ভোপাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরের ক্ষমা দাবি করেছে দল।
মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসে 'দেশভক্ত' মন্তব্যের জন্য দলের চাপে ক্ষমা চাইলেন ভোপাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। এমন মন্তব্য করা তাঁর উচিত হয়নি বলে অকপটে স্বীকার করেছেন মালেগাঁও বিস্ফোরণের অভিযুক্ত।
স্বাধীন ভারতের প্রথম সন্ত্রাসবাদী একজন হিন্দু বলে নাম না করে নাথুরাম গডসেকে নিশানা করেছিলেন অভিনেতা টার্নড রাজনীতিক কমল হাসান। এর উত্তরে ভোপাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর গডসেকে দেশভক্ত বলে সম্বোধন করেছিলেন। আর তা নিয়েই ভোটের মধ্যে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়তে হয় বিজেপিকে। সাধ্বী প্রজ্ঞার মন্তব্যকে ধরে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে আক্রমণ করেন ভোপাল লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী দিগ্বিজয় সিং। বিজেপিকে আক্রম করে অন্যান্য কংগ্রেস নেতারা।
আর সেই রাজনৈতিক চাপেই দিশেহারা হয়ে সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরকে গডসে 'দেশভক্ত' মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে বলে গেরুয়া শিবির। বিজেপির উত্তরপ্রদেশের মিডিয়া ইনচার্জ লোকেন্দ্র পরাসর জানান, নাথুরাম গডসে সম্পর্কে সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর যা বলেছেন, সেটি তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। বিজেপি তাঁর মন্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করে না বলেও জানান লোকেন্দ্র। জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসেকে 'দেশভক্ত' বলায় সাধ্বী প্রজ্ঞাকে ক্ষমা চাইতে হবে বলেই বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে।
এর আগেও ২৬/১১ মুম্বই হামলার অন্যতম শহিদ পুলিশ কর্তা হেমন্ত কারকারেকে নিয়ে কু-মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। সেই সময়ও রাজনৈতিক চাপে তিনি ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছিলেন। বাবরি মসজিদ ধ্বংস হওয়া নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ভোপাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রচার তিন দিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।