বিজেপিতে ভারতী ঘোষের প্রমোশন, সঙ্গে আরও চার নেতার পদপ্রাপ্তি! ৫ রাজ্যের ভোটের আগে জল্পনা
বিজেপি (BJP) নেত্রী ভারতী ঘোষের (Bharati Ghosh) পদোন্নতি। এদিন তাঁকে দলের তরফে জাতীয় মুখপাত্র (National Spokeperson) করা হয়েছে। একইসঙ্গে আরও চার নেতারও পদোন্নতি করা হয়েছে। এবারের ভোটে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থেকে
বিজেপি (BJP) নেত্রী ভারতী ঘোষের (Bharati Ghosh) পদোন্নতি। এদিন তাঁকে দলের তরফে জাতীয় মুখপাত্র (National Spokeperson) করা হয়েছে। একইসঙ্গে আরও চার নেতারও পদোন্নতি করা হয়েছে। এবারের ভোটে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থেকে হারার পরে, তাঁকে সেভাবে রাজ্য রাজনীতিতে দেখা যায়নি। এবার তাঁকেই জাতীয় মুখপাত্র করা নিয়ে স্বভাবতই জল্পনা তৈরি হয়েছে। ভারতী ঘোষ এখন শুধু আর পশ্চিমবঙ্গেই নয়, সর্বভারতীয় কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
পরপর দুবার ভোটে পরাজিত
পরপর দুবার দুটি বড় ভোটের লড়াইয়ে পরাজিত হয়েছেন ভারতী ঘোষ। ২০১৯ সালে তাঁকে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। কিন্তু তিনি তৃণমূলের দেবের কাছে হেরে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে ডেবরা থেকে অপর অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছিল দল। কিন্তু তিনি পরাজিত হন।
দলের আস্থা অটুট
এবারের বিধানসভা ভোটে হারার পর থেকে ভারতী ঘোষকে কোনওভাবেই সামনে দেখা যায়নি। কোনও কর্মসূচিতে হোক কিংবা আক্রান্ত কর্মীদের পাশে দাঁড়ানো, তাঁকে কোথাওয় দেখা যায়নি। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁকে নিয়ে। এবার সেই ভারতী ঘোষকেই দলের জাতীয় মুখপাত্র করল বিজেপি। এর আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপি জাতীয় কর্মসমিতিতে আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছিল। যদি তিনি ত্রিপুরায় গিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন।
জঙ্গলমহল দাপিয়ে বেরিয়েছিলেন
একটা সময়ে জঙ্গলমহলের দুই জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপারের দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রথমে পশ্চিম মেদিনীপুরের দায়িত্ব সামলানোর পরে ঝাড়গ্রাম জেলা তৈরির পরে তাঁকেই দায়িত্ব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টানা বেশ কয়েকবছর তিনি জঙ্গলমহলের বিস্তীর্ণ এলাকার দায়িত্ব সামলেছেন। পাশাপাশি জঙ্গলমহল থেকে মাওবাদীদের সরাতে তাঁরও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শুধু নিন্দুকেরা নন, তৃণমূলের একাংশ সেই সময় বলতেন, দলটাও পরিচালনা করেন ভারতী ঘোষ।
মমতাকে বলেছিলেন জঙ্গলমহলের মা
রাজ্যে তৃণমূল সরকারের প্রথম দফায় জঙ্গলমহলের এক অনুষ্ঠানে ভারতী ঘোষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জঙ্গলমহলের মা বলে সম্বোধন করেছিলেন। যা নিয়ে সেই সময় প্রবল বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। যদি পরবর্তী সময়ে ভারতী ঘোষ সংবাদ মাধ্যমকে বলেছিলেন, মঞ্চে সেইদিন তিনি শুধুমাত্র সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন। তিনি সরকারের লিখে দেওয়া স্ক্রিপ্ট পড়েছিলেন। তাঁর বাইরে তিনি কিছুই বলেননি।
বাকি যে চার নেতার পদোন্নতি
এদিন বিজেপির তরফ থেকে বিনোদ তাউডেকে জাতীয় সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। এছাড়াও ঋতুরাজ সিং এবং আশা লাকরাকে জাতীয় সম্পাদক করা হয়েছে। ভারতী ঘোষের পাশাপাশি শেহজাদ পুনাওয়ালাকে জাতীয় মুখপাত্র করা হয়েছে। আগামী বছরে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের আগে এই নিয়োগ যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।