মহারাষ্ট্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসলে কারা! উভয়পক্ষের হলফনামার অঙ্ক ছপিয়ে গেল মোট আসনও
মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের পরই লড়াই গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্ট উভয় পক্ষকেই নির্দেশ দিয়েছিল তাঁদের পক্ষে কত বিধায়কের সমর্থন রয়েছে তা হলফনামা আকারে জমা দিতে।
মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের পরই লড়াই গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্ট উভয় পক্ষকেই নির্দেশ দিয়েছিল তাঁদের পক্ষে কত বিধায়কের সমর্থন রয়েছে তা হলফনামা আকারে আদালতে জমা দিতে। এই নির্দেশের পরই বিজেপি ও শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোট যে হলফনামা পেশ করেছে, তাতে উভয়পক্ষই দাবি করেছে তদের সঙ্গেই রয়েছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা।
বিজেপির দাবি
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ দাবি করেন, তাদের সঙ্গে রয়েছে ১৭০বিধায়েকর সমর্থন। সেই দাবি মতো তালিকা পেশ করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। তিনি জানান, বিজেপির নিজস্ব বিধায়ক সংখ্যা ১০৫। এনসিপির ৫৪ বিধায়ক এবং নির্দল ও অন্যান্য ছোট দলগুলির ১১ জন বিধায়ক তাদের সঙ্গে রয়েছেন।
শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোটের দাবি
শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোট তার আগে হলফনামা পেশ করে জানায়, তাদের সঙ্গে ১৫৪ জন বিধায়ক রয়েছে। শিবসেনার ৪৮ জন ও কংগ্রেসের ৪৪ জন বিধায়ক ছাড়াও এনসিপির ৪৮ জন বিধায়ক তাঁদের সঙ্গেই রয়েছেন। আর ছ-জন নির্দল বিধাকের সমর্থনও তাঁদের পক্ষে। ফলে সংখ্যা গরিষ্ঠ সমর্থন তাদের দিকেই। অবিলম্বে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সরকারকে বরখাস্তের দাবি তোলেন তাঁরা।
মহারাষ্ট্র সরকার গড়তে
মহারাষ্ট্র বিধানসভায় মোট আসন সংখ্যা ২৮৮। তার অর্ধেক অর্থাৎ ১৪৪টির একটি বেশি ১৪৫টি আসন দরকার নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেতে। এই সংখ্যক আসন কোনও দলই এককভাবে পায়নি। এই অবস্থায় ত্রিশঙ্কু বিধানসভায় সরকার গড়তে বিধায়ক ভাঙাভাঙির খেলা চলছে। সেখানেই সুপ্রিম কোর্ট জানতে চায়, কার দিকে কত সমর্থন রয়েছে।
অজিতেই চিঠির পরই
এনসিপির বিধানসভা পরিষদয়ীয় দলের নেতা অজিত পাওয়ার এনসিপি-র ৫৪ বিধায়কদের স্বাক্ষর-সহ একটি চিঠি জমা দিয়েছিলেন রাজ্যপালকে। ২২ নভেম্বর সেই চিঠি জমা দেওয়ার যার পর ২৩ নভেম্বর সকালে মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতির শাসন প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়। শনিবার সকালে আশ্চর্যজনকভাবে শপথ গ্রহণ করেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং অজিত পাওয়ার।