বিজেপির সরকার টিকবে তো মহারাষ্ট্রে! অঙ্ক দিয়ে বোঝাচ্ছেন শাসক-বিরোধী উভয়পক্ষই
মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের একমাস পর শপথ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিদ্রোহী এনসিপি বিধায়কের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়ল বিজেপি। দেবেন্দ্র ফড়নবিশ শপথ নিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে।
মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের একমাস পর শপথ নিলেন কোনও মুখ্যমন্ত্রী। বিদ্রোহী এনসিপি বিধায়কের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়ল বিজেপি। দেবেন্দ্র ফড়নবিশ শপথ নিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এখন থেকেই তাঁর মসনদ টিকবে তো! নাকি সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হবেন তিনি। এখন থেকেই খাতা-পেন নিয়ে হিসেবে বসে গিয়েছে সব পক্ষ।
৩০ নভেম্বর পরীক্ষা
বিজেপি দাবি করছে, তাঁদের সঙ্গে রয়েছে ১৭০ জন বিধায়ক। অন্যদিকে এনসিপি-কংগ্রেস-শিবসেনা সম্মিলিতভাবে দাবি করেছে তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন ১৭০ জন বিধায়কের সমর্থন। তাহলে ভোটাভুটিতে জিতবে কে? ৩০ নভেম্বরের মধ্যে প্রমাণ করতে হবে দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার।
এক নজরে অঙ্ক
বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ও শিবসেনা জোট গড়ে লড়াই করেছিল। বিজেপি জিতেছিল ১০৫টি আসনে। আর শিবসেনা জিতেছিল ৫৬টি আসনে। তাদের জোট ভাঙার পর বিজেপি দাবি করছে শিবসেনার চারজন বিধায়ক তাদের সঙ্গে আছেন। আর নির্দল ও অন্যান্য ১৫ জন ছোট দলের বিধায়কের সমর্থনও তাঁরা পাবেন। অর্থাৎ এই অঙ্কে বিজেপির পক্ষে থাকছে ১১৯ জন।
এনসিপির অজিত পাওয়ারের দাবি
এখন এনসিপির অজিত পাওয়ারকে ছিনিয়ে এনেছে তাঁরা। এনসিপি ছেড়ে অনুগামীদের নিয়ে বেরিয়ে এসে বিজেপিকে সমর্থন দিয়েছেন অজিত পাওয়ার। তিনি নিজে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন। আর তিনি জানিয়েছেন ৩০ জন বিধায়ক তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন। অর্থাৎ ৩০ জন বিধায়ক এনসিপি ছেড়ে এলে বিজেপির পক্ষে সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১৪৯। অর্থাৎ ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ফেলছে তারা।
পরীক্ষা শারদ পাওয়ারেরও
এই অবস্থায় দেখার এনসিপি বিধায়কদের ধরে রাখতে সমর্থ হন কি না শারদ পাওয়ার। বিজেপিকে লাইফ লাইন দিয়েছেন বিদ্রোহী এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার। তিনি মহারাষ্ট্রে বিরোধী জোট ভেঙে বিধায়কদের নিয়ে বিজেপি শিবিরকে সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন। জানিয়েছেন ৩০ জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। এখন শারদ পাওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণ করে দেখান ফড়নবিশ। তাঁদের সম্মিলিত শক্তি অটুট আছে। অজিতের সঙ্গে কয়েকজন আছে ঠিকই। তবে তাঁদের সবার দলত্যাগী আইনে বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যাবে।