কার ‘পাওয়ার’ কত! মহারাষ্ট্রের মহানাটকের রায়দানের আগে একনজরে সংখ্যার লড়াই
মহারাষ্ট্রে মহানাটকের যবনিকা পতন হয়নি এখনও। সরকার গঠনের পরই লড়াই গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার চূড়ান্ত রায় দেবে। তার আগে শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোট শক্তি প্রদর্শন করে দেখিয়ে দেয় তা
মহারাষ্ট্রে মহানাটকের যবনিকা পতন হয়নি এখনও। সরকার গঠনের পরই লড়াই গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার চূড়ান্ত রায় দেবে। তার আগে শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোট শক্তি প্রদর্শন করে দেখিয়ে দেয় তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন ১৬২ জন। পোস্টার পড়ে 'আমরা ১৬২'। তারপরও কার পাওয়ার কত, তা নিয়ে লড়াই রয়ে গেল।
বিজেপির সমর্থনে ১৭০ বিধায়ক, দাবি
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ দাবি করেন, তাদের সঙ্গে রয়েছে ১৭০বিধায়কের সমর্থন। আর বিরোধী মহাজোট শক্তি প্রদর্শন করার পর বিজেপি জানায়, যতই প্যারাড করুব ওঁরা ফোটো ফিনিশ করবে বিজেপিই। সেই নিরিখে বিজেপির দাবি, তাদের নিজস্ব বিধায়ক সংখ্যা ১০৫। এনসিপির ৫৪ বিধায়ক এবং নির্দল ও অন্যান্য ছোট দলগুলির ১১ জন বিধায়ক তাদের সঙ্গে রয়েছেন। অর্থাৎ মোট বিধায়ক সংখ্যা ১৭০।
শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোটের দাবি, আমরা ১৬২
শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোট তার আগে হলফনামা পেশ করে জানায়, তাদের সঙ্গে ১৫৪ জন বিধায়ক রয়েছে। পরে শক্তি প্রদর্শন করে ১৬২ জনকে এক জায়গায় সম্মিলিত করে মহাজোট। মহাজোটের দাবি, শিবসেনার ৫৬ জন, এনসিপির ৫২ জন, কংগ্রেসের ৪২ জন এবং অন্যান্য ১২ জন বিধায়ক তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন। ফলে ১৬২ জনের সমর্থনে সংখ্যাগরিষ্ঠ সংখ্যা তাদের দিকেই।
মহারাষ্ট্র সরকার গড়তে ম্যাজিক ফিগার
মহারাষ্ট্র বিধানসভায় মোট আসন সংখ্যা ২৮৮। তার অর্ধেক অর্থাৎ ১৪৪টির একটি বেশি ১৪৫টি আসন দরকার নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেতে। এই সংখ্যক আসন কোনও দলই এককভাবে পায়নি। এই অবস্থায় ত্রিশঙ্কু বিধানসভায় সরকার গড়তে বিধায়ক ভাঙাভাঙির খেলা চলছে। সেখানেই সুপ্রিম কোর্ট জানতে চায়, কার দিকে কত সমর্থন রয়েছে।