রীতি ভেঙে জয়ের দিশারি বিজেপি, কংগ্রেস চাইছে ‘জুমলা’র অবসান! ভোটযুদ্ধ হিমাচলে
প্রতি পাঁচ বছর অন্তর অন্তর সরকার বদল হওয়াই রীতি হিমাচল প্রদেশের। এর অন্যথা ঘটতে দেখায় যায়নি আগে। এবার সেই মিথ ভাঙতে চায় বিজেপি। হিমাচলে এবার সরকার ধরে রাখাই বিজেপির লক্ষ্য।
প্রতি পাঁচ বছর অন্তর অন্তর সরকার বদল হওয়াই রীতি হিমাচল প্রদেশের। এর অন্যথা ঘটতে দেখায় যায়নি আগে। এবার সেই মিথ ভাঙতে চায় বিজেপি। হিমাচলে এবার সরকার ধরে রাখাই বিজেপির লক্ষ্য। আর কংগ্রেস চাইছে লড়াই করে জয় ছিনিয়ে আনতে। বিজেপিকে তাঁরা এক চুল জমি ছাড়তেও নারাজ।
রাত পোহালেই হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে জেতার পালা কংগ্রেসের। কিন্ত সমীক্ষার আভাসে বিজেপিরই পাল্লা ভারী। কংগ্রেস লড়াইয়ের জায়গায় আছে। কিন্তু জেতায় জায়গায় সেভাবে নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে কংগ্রেস সব হিসেব উল্টে দিতে পারে কি না, সেদিকেও চোখ রয়েছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের।
বিজেপি যখন মিথ ভাঙলে মরিয়া, তখন মাটি কামড়ে পড়ে থেকে কংগ্রেসের জন্য জয় ছিনিয়ে আনতে চাইছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তিনি একের পর এক জনসভা করে চলেছেন। বিজেপিকে হারানোর পরিকল্পনা করে চলেছেন অন্য কংগ্রেসি নেতাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। দাদা রাহুল গান্ধী এখন ভারত জোড়ো যাত্রায় ব্যস্ত আর বড় লক্ষ্য সাধিত করতে, রাজীব-তনয়ার কাঁধে তাই মস্ত বড় দায়িত্ব।
প্রায় সমস্ত জনমসত সমীক্ষায় বলেছে, হিমাচলে ফের বিজেপির সরকার গড়তে চলেছে। প্রচারেও এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। কিন্তু বিজেপির বিপক্ষে যাচ্ছে শুধু জয়-পরাজয়ের ধারাবাহিকতার মিথ আর অ্যান্টি ইনকামবেন্সি ফ্যাক্টর। বিজেপি তাই আগেভাগে ময়দানে নেমেছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির নিজের রাজ্য। তাই বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। ভূমিপুত্র জেপি নাড্ডা ও অপর এক ভূমিপুত্র অনুরাগ ঠাকুরও প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন।
তা বলে খুব পিছিয়ে নেই কংগ্রেসও। কংগ্রেস হাতিয়ার করেছেন বিজেপির অগ্নিপথ প্রকল্পকে। এই রাজ্যের প্রায় প্রতিটি পরিবারের একজন ভারতীয় সেনায় কাজ করেন। তাই অগ্নিপথ প্রকল্পের জের ভোটবাক্সে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। মানুষের মন বুঝতে পদ্মশিবিরের নেতারা মাটি কামড়ে পড়েছিলেন। এই প্রকল্পে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে ইচ্ছুক যুবকদের সাহায্য করবে বলে বোঝানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। অগ্নিপথের নেতিবাচক প্রভাব যাতে না পড়ে তার জন্য মরিয়া তারা। কংগ্রেসও অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে বিজেপির ভাঁওতাবাজির ফায়দা তুলতে চাইছে যে কোনও প্রকারে।
রাহুল গান্ধী নিজে ভারত জোড়ো যাত্রায় ব্যস্ত থাকায় হিমাচলে প্রচারে যাননি। তিনি সম্পূর্ণ দায়িত্ব ছেড়েছেন বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও শচীন পাইলটের উপর। তারপর সাংসদর রাজীব শুক্ল ও ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভঊপেশ বাঘেলও রয়েছেন প্রচারের মূল দায়িত্ব। মোট কথা হিমাচলের এক পাহাড় থেকে আর এক পাহাড় ছুটে বেরিয়েছেন তাঁরা। হিমাচলে বিজেপির পরিবারতন্ত্র ও জুমলা নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস। তাই পরিবর্তন আসন্ন বলে দাবি তুলেছেন।
ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পুরো দ্বীপরাষ্ট্র, মিনিটের মধ্যে ঘটতে পারে সুনামি! সতর্কতা জারি