গোয়ায় এখন থেকেই অঙ্ক কষা শুরু! ‘সমর্থন’ পেতে তৎপরতা বিজেপি-কংগ্রেসের
গোয়ায় এখন থেকেই অঙ্ক কষা শুরু! ‘সমর্থন’ পেতে তৎপরতা বিজেপি-কংগ্রেসের
গোয়ায় এখন থেকেই অঙ্ক কষা শুরু! 'সমর্থন' পেতে তৎপরতা বিজেপি-কংগ্রেসেরসৈকত-রাজ্য গোয়ার ভোট শেষ হয়েছে। সবার মধ্যে এবার একটাই প্রশ্ন, এবার ক্ষমতায় কে? এই প্রশ্ন শুধু সাধারণ মানুষের মধ্যেই নয়, রাজনৈতিক দলগুলোও নিশ্চিত নয়, এবার কার হাতে উঠছে গোয়ার শাসনভার। তবে রাজনৈতিক দলগুলির কাছে এটা সুস্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, যে এবারও কোনও দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। অর্থাৎ এবারও সমর্থন আদায়ের অঙ্ক খেলতে হবে ফলাফল প্রকাশের পরে।
ম্যাজিক ফিগার খোঁজার তৎপরতা
২০১৭ সালে কংগ্রেস বৃহত্তম দল হয়েও সরকার গঠন করতে পারেনি গোয়ায়। বিজেপি পিছিয়ে থেকেও অন্য সমস্ত দলকে জুটিয়ে সরকার গড়েছিল। এবার ২০২২-এও সেই একই পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে। এবারও কোনও দল সরকার গড়ার ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারবে না বলে রাজনৈতিক দলগুলির তৎপরতায় স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
পুঁজি জোটানোই এখন দস্তুর গোয়ায়
এবারও বিজেপি বনাম কংগ্রেসের মধ্যে লড়াই-ই বলবৎ থাকবে বলে ধারণা। উভয় দলই এখন থেকে রাস্তা পরিষ্কার করে রাখছে। অন্যান্য ছোট দল, এমনকী নির্দলকে টার্গেট করছে তারা। গোয়ায় মাত্র ৪০ আসনের লড়াই। ম্যাজিক ফিগার পেতে গেলে ২১টি আসন দখল করতে হবে। কিন্তু সেইঁ পুঁজি জোটানোই এখন দস্তুর হয়ে উঠেছে।
তৃণমূলের জোটসঙ্গীর বিস্ফোরক দাবি
রাজনৈতিক দলগুলির ভাবনা আরও স্পষ্ট হবে নির্বাচনের শেষ দিনে বুথ ফেরত সমীক্ষার আভাস সামনে এলে। তারপর ফলাফল প্রকাশের অপেক্ষা। ১৪ ফেব্রুয়ারি গোয়ায় ভোট হয়েছে এক দফায়। তারপর থেকেই বিজেপি ও কংগ্রেস তৎপর হয়ে জোটসঙ্গী খুঁজছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি তৃণমূলের জোটসঙ্গী মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কংগ্রেস ও বিজেপি।
কংগ্রেসকে ডিঙিয়ে বিজেপির সরকার হয়েছিল
গোয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে এবার চিন্তিত বিজেপিও। মোদী-শাহরা প্রচারে এসে কাতর আবেদন জানিয়েছিলেন বিজেপিকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেওয়ার জন্য। উল্লেখ্য, ২০১৭-য় কংগ্রেস একক বৃহত্তম শক্তি হয়েছিল। তারা ১৭টি আসন পেয়েছিল গোয়ায়। অর্থার ম্যাজিক ফিগার ২১টা থেকে চারটি আসন দূরে ছিল তারা। বিজেপি পেয়েছিল ১৩টি আসন। এর পরবর্তী সময়ে কংগ্রেসকে ডিঙিয়ে বিজেপি গোয়ার ক্ষমতা দখল করে।
গোয়ায় বিজেপি তৎপর, সাবধান কংগ্রেসও
বিজেপি কংগ্রেসকে ঠেকাতে মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি ও গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির সঙ্গে জোট করে নির্বাচনোত্তর পর্বে। কয়েকজন নির্দল বিধায়কেরও সমর্থন পায় বিজেপি। ফলে কংগ্রেসকে টপকে তারাই সরকার গঠন করতে সমর্থ হয়। মনোহর পর্রিকরের নেতৃত্বের সরকার গড়ে বিজেপি। দু-বছর পর তাঁর অকাল মৃত্যুতে প্রমোদ সাওয়ান্ত গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হন। পরবর্তী সময়ে কংগ্রেস ভাঙিয়েও বেশ কয়েকজন বিধায়ক বিজেপিতে আসেন। এবার তাই আগে থেকে সাবধান কংগ্রেসও। তারা এবার ২০১৭-র পুনরাবৃত্তি হোক চাইছে না কিছুতেই।