'হিরা'-র পাল্টা 'দুর্বল প্রধানমন্ত্রী'! মোদীকে সুযোগ বুঝে আক্রমণে মানিক
প্রচারে নাম করেই গেরুয়া শিবির তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চরম আক্রমণ শানালেন মানিক সরকার।
শেষ বামদুর্গ বাঁচাতে সিপিএম যে কতটা মরিয়া তা ত্রিপুরার ভোটের প্রচারে বারবার ধরা পড়ছে। মহম্মদ সেলিম, বৃন্দা কারাট, বিমান বসু থেকে শুরু করে ছোট বড় একাধিক নেতা ছোট-বড় প্রচার সারছেন ত্রিপুরার অলিতে-গলিতে। তবে বাম দুর্গ একদিকে রক্ষা ও অন্যদিকে বিজেপিকে সামলাতে মোক্ষম অস্ত্র সেই মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারই। এদিন যেমন প্রচারে নাম করেই গেরুয়া শিবির তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চরম আক্রমণ শানালেন মানিক সরকার।
[আরও পড়ুন:বামদুর্গ রক্ষার শেষ প্রহরী! ধ্বংসের মাঝে দাড়িয়ে দল বাঁচাতে একা লড়ছেন মানিক]
এদিন মানিক বলেন, আগুন নিয়ে খেলছে বিজেপি। রাজ্যে বিভেদের পক্ষে থাকা শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজ্যকে রসাতলে পাঠাতে চাইছে বিজেপি। পাশাপাশি এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও একহাত নিয়েছেন মানিক।
ত্রিপুরায় এসে মানিকের বদলি হিসাবে হিরা-র প্রসঙ্গ টেনে এনেছিলেন মোদী। ত্রিপুরার মানুষ বাম সরকার থেকে মুক্তি পেতে চাইছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। সেই প্রসঙ্গেই মানিক এদিন বলেছেন, এই ধরনের শব্দ প্রধানমন্ত্রীর দুর্বল মানসিকতার পরিচয়। এটা ত্রিপুরার মানুষ সহ্য করবে না।
ত্রিপুরায় ভোট হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি। প্রচারের একেবারে শেষ ধাপে রয়েছে সব দলগুলি। যদিও মানিক আশাবাদী, এবারও বাম সরকার ক্ষমতায় আসবে। টানা অষ্টমবার বামেরা ত্রিপুরায় সরকার গড়বে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আইপিএফটি বা ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অব ত্রিপুরার সঙ্গে বিজেপি জোট বেঁধে মানুষকে উসকানি দিতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছেন মানিক। এই দল ত্রিপুরাকে ভাঙতে চায়। তাদের মদত দিচ্ছে বিজেপি। এই আইপিএফটি-র সঙ্গে পাকিস্তানি আইএসআই ও সিআইএ-র যোগ রয়েছে। ফলে এদের সঙ্গে যোগ রেখে বিজেপি আগুন নিয়ে খেলা করছে বলেও অভিযোগ মানিকের।
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় ১৯৯৩ সাল থেকে একটানা ক্ষমতায় রয়েছে বাম সরকার। ১৯৯৩ সালে মুখ্যমন্ত্রী হন দশরথ দেব। তারপরে ১৯৯৮ সাল থেকে ২০ বছর মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন মানিক সরকার।