বিপ্লব শেষে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেবেন! জনতার দরবারে আবেদনের পরই সিদ্ধান্ত
শেষে কি মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেবেন বিপ্লবকুমার দেব? আগামী ১৩ ডিসেম্বর তিনি বিবেকানন্দ ময়দানে ত্রিপুরাবাসীর সামনেই প্রকট করবেন সব! তিনি ত্রিপুরার মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন সমাবেশে অংশগ্রহণ করার জন্য। সেখানেই বিপ্লব জানাবেন তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন কি না! মানুষ যদি আমাকে সমর্থন না করে, তবে পদত্যাগ করব।

'বিপ্লব হটাও, ত্রিপুরা বাঁচাও' স্লোগানের পর
সম্প্রতি বিজেপির অন্দরেই আওয়াজ উঠেছে 'বিপ্লব হটাও বিজেপি বাঁচাও'। ত্রিপুরায় বিজেপির ভারপ্রাপ্ত ভি কে সোনকারের সফরের সময় এই স্লোগান উঠেছে। এরপর মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে বিপ্লব দেব বলেন, "রবিবার কিছু লোক 'বিপ্লব হটাও, ত্রিপুরা বাঁচাও' স্লোগান তুলেছিলেন। তাতে আমি খুব হতাশ হয়ে পড়েছিলাম।

জনগণের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনার পর সিদ্ধান্ত বিপ্লবের
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দেখানো পথে আমি দিনরাত কাজ করে চলেছি। ত্রিপুরার চূড়ান্ত উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পন্থা অনুসরণ করে চলছি। কিন্কু তারপরও এই ধরনের স্লোগান উঠেছে দলের সভাতেই। তাই ১৩ ডিসেম্বর জনসভায় আমি জনগণের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা নেব। তারপরই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে থাকা বা না থাকার সিদ্ধান্ত নেব।

বলে দিন, আমি মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকব কি না!
আমি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কথা কখনও ভাবিনি। দল আমাকে এই পদের যোগ্য মনে করে বসিয়েছে। মানুষ আমাকে নির্বাচিত করেছে। আমি ত্রিপুরার ৩ লক্ষ মানুষকে রবিবার জনসভায় আসতে অনুরোধ করছি। তাঁরাই আমাকে বলে দেবেন, আমি মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকব কি না। তাঁদের পরামর্শ মেনেই আমি সিদ্ধান্ত নেব।

'আমি জনগণের রায় শুনতে ও গ্রহণ করতে চাই'
বিপ্লব বলেন, "চারজন লোক আমার বিরুদ্ধে কী বলেছে তাতে কিছু যায় আসে না আমার। আমি জনগণের রায় শুনতে ও গ্রহণ করতে চাই এবং জনগণের সিদ্ধান্ত হাইকমান্ডের সামনে তুলে ধরতে চাই। তিনি বলেন বিজেপি-আইপিএফটি (পিপলস ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা) জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ত্রিপুরা অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিকাঠামো এবং কৃষিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি হয়েছে।

কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের সামনে স্লোগান বিপ্লবের বিরুদ্ধে
উল্লেখ্য, রবিবার কয়েক হাজার বিজেপি কর্মী ও স্থানীয় নেতারা একত্রিত হয়ে দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক বিনোদ কুমার সোনকারের সামনে তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান তুলেছিলেন। মন্ত্রী, বিধায়ক ও দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বৈঠক চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে এই স্লোগান ওঠে। তারপরই জনসমক্ষে রায়প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিপ্লব দেব।