ত্রিপুরার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব, উপ মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন জিষ্ণু দেববর্মন
প্রত্যাশা মতোই ত্রিপুরায় বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা নির্বাচিত হলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি বিপ্লব কুমার দেব। উপমুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন জিষ্ণু দেববর্মন। ৯ মার্চ আগরতলার অসম রাইফেলস গ্রাউন্ডে হবে শপথ গ্রহণ।
প্রত্যাশা মতোই ত্রিপুরায় বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা নির্বাচিত হলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি বিপ্লব কুমার দেব। উপ মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন জিষ্ণু দেববর্মন। ৯ মার্চ আগরতলার অসম রাইফেলস গ্রাউন্ডে হবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বিজেপি নেতা রাম বাধমের উপস্থিতিতে ত্রিপুরা বিজেপি পরিষদীয় দলের বৈঠক হয় আগরতলায়। সেখানে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়কড়িও। বৈঠকেই বিপ্লবকুমার দেবকে নেতা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। একই সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, চরিলাম কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী এবং রাজপরিবারের সদস্য জিষ্ণু দেববর্মন উপ মুখ্যমন্ত্রী হবেন। সিপিএম প্রার্থীর মৃত্যুতে চরিলাম কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করে দেওয়া হয়। বিজেপির বিশ্বাস, উপজাতি অধ্যুষিত চরিলাম থেকে অনায়াসেই জিতে যাবেন জিষ্ণু দেববর্মন। নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়ের কাছে সরকার গঠনের দাবি জানান বিপ্লব দেব। তবে বৈঠকে মন্ত্রীদের দফতর নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিত থাকাটাও উল্লেখ যোগ্য ঘটনা। এবারের নির্বাচনের আগে ত্রিপুরায় একাধিকবার প্রচারের গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 'চলো পাল্টাই'-এর ডাক দিয়েছিলেন তিনি। সেই মতো পরিবর্তন হয়েছে ত্রিপুরায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ভোটপ্রচারে ত্রিপুরায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ৩ মার্চ ফল ঘোষণার পর রাজ্যে কমিউনিস্টদের নাম ও নিশান থাকবে না। বিজেপি সরকার গড়বে। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি নিজে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
৬০ আসন বিশিষ্ট ত্রিপুরা বিধানসভায় নির্বাচন হয়েছিল ৫৯ আসনে। বিজেপি জোট পেয়েছে ৪৩ টি আসন। এর মধ্যে বিজেপি জিতেছে ৩৫ টি আসনে। অন্যদিকে সহযোগী আইপিএফটি পেয়েছে আটটি আসন। সিপিএম-সহ বামেরা পেয়েছে ১৬ টি আসন। কংগ্রেস কিংবা তৃণমূল একটি আসনও পায়নি।
শেষ বার ১৯৮৮ সালে বাম বিরোধী হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন সমীররঞ্জন রায়বর্মন। এরপর ১৯৯৩-এ ফের সিপিএমের নেতৃত্বাধীন সরকার একটানা ২০১৮ পর্যন্ত।