বিজেপির জোট সরকারের গদি কি টলমল ত্রিপুরায়! 'বিপ্লব হঠাও , বিজেপি বাঁচাও' এর মাঝেই আস্থা ভোটের দাবি কোনপথে
ঘটনার সূত্রপাত ত্রিপুরায় বিজেপির মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মণকে মন্ত্রিসভা থেকে ছাঁটাই ঘিরে। সুদীপপন্থীরা এরপর থেকেই নিজেদের বিপ্লব বিরোধিতার সুর চড়া করতে থাকেন। ক্রমাগত বিজেপির অন্দরের ফাটল ত্রিপুরায় নিজের কঙ্কালসার চেহারাকে তুলে ধরতে শুরু করে। যার সুযোগে এবার বিরোধীরা ক্রমেই আস্থাভোটের ডাক দিতে শুরু করল।

বিজেপির শরিকই খোদ বিজেপির বিপক্ষে!
ত্রিপুরায় বিজেপির জোট শরিক আইপিএফটিও এবাহ কার্যত বিজেপি বিরোধিতার রাস্তা নিয়েছে। অন্যদিকে, কংগ্রেস ও সিপিএমও ক্রমাগত বিজেপি বিরোধিতায় আস্থা ভোটের প্রসঙ্গে সরব হয়েছে। বিপ্লব দেবের
সপক্ষে কতজনের সমর্থন রয়েছে, তা যাচাই করতেই আই আস্থা ভোটের ডাক। এর নেপথ্যে রয়েছে ত্রিপুরা বিজেপির প্রবল দ্বন্দ্ব।

বিপ্লব ও ত্রিপুরার 'নম্বর গেম'
সুদীপ রায় বর্মণপন্থী ৪ বিধায়ক ইতিমধ্যেই খোলাখুলি বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে সুর চটড়া করেছেন। তাঁরা গত ১৩ অক্টোবর বিজেপি প্রধান জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখাও করেন। তাঁদের দাব ক্রমাগত সিদ্ধান্তহীনতার শিকার হচ্ছে ত্রিপুরা বিজেপি সরকার। বিপ্লব দেবের শাসনে ত্রিপুরায় অরাজকতার শিকার রাজ্য। এই দাবি তলে তারা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে জানায়, ৬০ সদস্যের ত্রিপুরা বিধানসভায় ৩৬ জন বিজেপি বিধায়কের মধ্যে ২৫ জন বিজেপি বিধায়ক আপাতত বিপ্লব বিরোধী। সঙ্গে জোট শরিক আইপিএফটিও বিপ্লব বিরোধিতা করছে।

বিপ্লবের সিদ্ধান্ত
এমন প্রেক্ষাপটে অভিমানী বিপ্লব , নিজের মুখ্যমন্ত্রিত্বের ভাগ্য নির্ধারণ করতে ডিসেম্বর ১৩ তারিখে গুয়াহাটিতে একটি সভার আয়োজন করেন। যা পরে স্থগিত রাখতে নির্দেশ দেয় পদ্মক্যাম্পের হাইকমান্ড। এদিকে, বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের দাবি, এমনভাবে ত্রিপুরায় বিজেপির জোট সরকার চললে ২০২৩ এর নির্বাচনে বড়সড় বিপত্তির মধ্যে পড়তে হবে ত্রিপুরা বিজেপিকে।

ত্রিপুরায় ২০১৮ সালের ভোটের ফলাফল
২০১৮ সালে ত্রিপুরার ৬০ আসনের বিধানসভা ভোটে বিজেপি দখলে রাখে ৩৬ টি আসন। যার মধ্যে ২৫ জন বিধায়ক আপাতত মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরোধী বলে দাবি করছে ত্রিপুরা বিজেপির একাংশ। বিমাদেরে সেখানে ১৬ টি আসন পায়। এছাড়াও আইপিএফটি পেয়েছে ৮ টি আসন। তার আগের বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরাতে বিজেপির দখলে শূন্য আসন ছিল। সেখান থেকে ৪৩.৫৯ ভোট শেয়ার নিয়ে ২০১৮ সালে বাজিমাত করে দল। মুখ্যমন্ত্রী হন বিপ্লব দেব।