ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধারের সংযুক্তিকরণ জরুরি, আর কী বললেন নতুন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার
ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধারের সংযুক্তিকরণকে তিনি সমর্থন করেন। দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিযুক্তির পর এমনটাই মন্তব্য করলেন ওম প্রকাশ রাওয়াত।
ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধারের সংযুক্তিকরণকে তিনি সমর্থন করেন। দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিযুক্তির পর এমনটাই মন্তব্য করলেন ওম প্রকাশ রাওয়াত।
ভোট কেন্দ্রে ঢোকার আগে ভোটারের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আধারের বায়োমেট্রিক্স জরুরি। এরপরেই ভোটাররা ইভিএম-এ হাত দিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ভোটারের পরিচয় সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে। এমনটাই মন্তব্য করেছেন নব নিযুক্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ওম প্রকাশ রাওয়াত। তবে ইভিএম-এ কোনও পরিবর্তন চান না তিনি। জানিয়েছেন রাওয়াত।
ভারত সরকারের সচিবের পদ থেকে অবসর নিয়েছিলেন ২০১৫-র অগাস্টে। এরপর পরিবারের সঙ্গে ইউরোপ ভ্রমণের পরিকল্পনা করছিলেন। ওম প্রকাশ রাওয়াত। ভ্রমণের দিন ঠিক হয়ে গিয়েছিল। টিকিটও বুক করা হয়ে গিয়েছিল। ভিসার জন্য স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ভোপাল থেকে দিল্লি গিয়েছিলেন তিনি। এই সময়ই প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে ফোনে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের পদে যোগ দিতে বলা হয়। তাঁর হঠাৎ নির্বাচন সদনে প্রবেশে ইউরোপ ভ্রমণ বাতিল হয়ে যায়। স্ত্রী একাই ইউরোপ ভ্রমণে যাবেন বলে জানা গিয়েছে।
রবিবার ভারতের ২২ তম মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে একে জ্যোতির স্থলাভিষিক্ত করার কথা জানানো হয়েছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ডিসেম্বরের ২ তারিখ পর্যন্ত তাঁর কার্যকালের মেয়াদ। কেননা ওইদিনই রাওয়াতের ৬৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে। এই কার্যকালের সময়ের মধ্যে ৮ রাজ্যের নির্বাচন তাঁকে সামলাতে হবে। ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন রয়েছে ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড এবং মেঘালয়ে। এপ্রিল-মে মাসে কর্নাটকে নির্বাচন । বছরের দ্বিতীয়ার্ধে নির্বাচন রয়েছে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগড়, রাজস্থান এবং মিজোরামে।
সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে আশাবাদী বলেই জানিয়েছেন নব নিযুক্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ওমপ্রকাশ রাওয়াত।
প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের ছেলে এই ওমপ্রকাশ রাওয়াত। বেড়ে ওঠা উত্তর প্রদেশের ঝাঁসিতে। হিন্দি মিডিয়াম সরকারি স্কুলে পড়াশোনা শুরু করেন তিনি। পরে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিদ্যায় এমএসসি। ইচ্ছা ছিল শিক্ষাজগতেই থাকার। পরপর দুবার বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার হিসেবে নির্বাচিতও হয়েছিলেন। এরই মধ্য়ে ১৯৭৫-এ ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিস এক্সামিনেশনে বসেন। দেরাদুনের আইএফএস অ্যাকাডেমিতে প্রবেশনে থাকার সময়েই আইএএস-এ সফল হন।