দেশের চরম দারিদ্রতার মধ্যে অর্থনৈতিক উন্নতি অসম্ভব, মত বায়োকনের এক্সিকিউটিভ চেয়ারপার্সনের
দেশের চরম দারিদ্রতার মধ্যে অর্থনৈতিক উন্নতি অসম্ভব, মত বায়োকনের এক্সিকিউটিভ চেয়ারপার্সনের
কেন্দ্র সরকারের আর্থিক প্যাকেজ অর্থনীতিকে আংশিকভাবে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচালেও আশঙ্কা থাকছে অন্য জায়গায়। যোগান সাবলীল হলেও চাহিদা সৃষ্টিতে ব্যর্থ সরকার, ফলত অর্থনৈতিক উন্নতি দুষ্কর, সোমবার এমনটাই জানালেন বায়োকনের এক্সিকিউটিভ চেয়ারপার্সন কিরণ মজুমদার শ।
যোগান আছে কিন্তু চাহিদা নেই
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে কিরণ মজুমদার শ জানিয়েছেন, "আমরা অর্থনৈতিক উন্নতির একটি বড় সুযোগ হাতছাড়া করলাম। সরকার যোগানের ঘাটতি কমাতে মাঠে নামলেও চাহিদা বাড়ানোর লক্ষ্যে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।" তিনি জানান, সরকারি প্যাকেজ শুধুমাত্র যোগান বাড়ানোর ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হলেও চাহিদার ক্ষেত্রে কোনোরকম নজর দেওয়া হচ্ছে না, ফলত ভারতীয় অর্থনীতির উন্নতি কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
গরিবদের জন্য ন্যূনতম ভাতার পক্ষে সওয়াল
একই সাথে কিরণকে এদিন সরকারের পক্ষ থেকে গরিবদের ন্যূনতম ভাতা প্রদানের মাধ্যমে তাঁদের সামাজিক সুরক্ষার দাবি জানাতেও দেখা যায়। তিনি আরও বলেন, "সত্যি বলতে, অভিবাসী শ্রমিকদের তাদের ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, যা প্রত্যেক ভারতীয়র কাছে চিন্তা ও লজ্জার কারণ। এইরকম দারিদ্রের মাঝে আর যাই হোক, ভারতীয় অর্থনীতির উন্নতির কথা চিন্তা করা অসম্ভব।"
বন্ধ কারখানার শ্রমিকদের মাইনে কোন পথে ?
কিরণের কথায় "সরকার বন্ধ কারখানাগুলিকে যেভাবে শ্রমিকদের মাইনে মেটাতে বলেছে, তা ভিত্তিহীন ও অনৈতিক। কারখানাগুলি পুরোদমে চালু না হলে চরম সমস্যায় পড়বেন সকলেই।" তাঁর মতে, আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণায় জোয়ার আসবে কৃষিক্ষেত্রে। যদিও তাঁর মতে, প্যাকেজের বাস্তবায়নে এমএনআরইজিএ গ্রাম্য উন্নয়নক্ষেত্রে আরও তৎপড়তার প্রয়োজন রয়েছে।
জিএসটি কাঁটছাট করা নিয়ে ভাবনাচিন্তার প্রয়োজন
কিরণের মতে, চাহিদার উন্নতির জন্য তিন থেকে ছয়মাসের জন্য পরীক্ষামূলক ভাবে জিএসটিতে ছাড় ঘোষণা করা উচিত সরকারের। তিনি সাক্ষাৎকারে আরও জানিয়েছেন, "আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় মৃতের সংখ্যার উপর অধিক নজর দেওয়া উচিত প্রশাসনের। আমাদের এটা মেনে নিতেই হবে যে, আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়বেই। সেক্ষেত্রে অধিক স্পর্শকাতর রোগীদের উপর নজর দিলে পরবর্তীকালে নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি ও নতুন প্রতিষেধকের আবিষ্কার হলে তা প্রয়োগে সুবিধা হবে।" পাশাপাশি দেশের মানুষকে এই কঠিন সময়ে সকল সরকারি নিয়মাবলী মেনে চলার আর্জি জানান তিনি।
সিবিএসই-র দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার দিন ঘোষিত, ১ জুলাই থেকে ১৫ জুলাই টানা চলবে পরীক্ষা