মানুষের ক্ষতি হতে পারে এমন অস্ত্রের ফান্ডিং বন্ধে বিল পাশ লোকসভায়
যে অস্ত্রে একই সঙ্গে বহু মানুষের ক্ষতি হতে পারে এমন অস্ত্রের ফান্ডিং বন্ধ করার জন্যে বিল পাশ হল লোকসভায়। সোমবার পাশ হওয়া ওই বিলে সরকারকে এই ক্ষমা দেওয়া হল যে, এমন ধ্বংসাত্বক অস্ত্রের খরচের উৎস বন্ধ করার জন্যে প্রয়োজনে সম
যে অস্ত্রে একই সঙ্গে বহু মানুষের ক্ষতি হতে পারে এমন অস্ত্রের ফান্ডিং বন্ধ করার জন্যে বিল পাশ হল লোকসভায়। সোমবার পাশ হওয়া ওই বিলে সরকারকে এই ক্ষমা দেওয়া হল যে, এমন ধ্বংসাত্বক অস্ত্রের খরচের উৎস বন্ধ করার জন্যে প্রয়োজনে সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা যাবে।
ধ্বংসাত্বক অস্ত্র এবং সেগুলির ডেলিভারির সিস্টেম সংক্রান্ত এই সংশোধনী বিল ধ্বনি ভোটে পাশ হয়েছে। যদিও আজ সোমবার রাজ্যসভায় শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতের গ্রেফতারি সহ একাধিক ইস্যুতে সরব হন বিরোধীরা। যদিও তুমুল হইহট্টগলের মধ্যেই এই বিল পাশ হয়ে যায়।
এদিন এই বিল সংক্রান্ত বিতর্কে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর উল্লেখ করেন, ঠিক যেমন সন্ত্রাসবাদ উদ্বেগের কারন। ঠিক ততটাই আতঙ্কের এই সমস্ত ধ্বংসাত্বক অস্ত্র। তিনি আরও জানান, বর্তমানে যে আইন রয়েছে তাতে শুধুমাত্র এই ধরণের অস্ত্র নিয়ে ব্যবসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আছে। এগুলির জন্যে বরাদ্দ আটকাতে কোনও আইন নেই বলে দাবি কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর।
Financial Action Task Force চায় যাতে প্রত্যেকটি দেশ এই ধরণের অস্ত্র সংক্রান্ত কার্যকলাপ সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করে। আর সেই কারণেই সাম্প্রতিক সময়ে এই বিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে এদিন দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী। তাঁর কথায়, এই বিল দেশের মানুষের সুরক্ষার ক্ষেত্রেও খুব গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি দেশের জন্যেও সুরক্ষিত বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী।
এর আগে ২০০৫ সালে এই ধরণের অস্ত্র সংক্রান্ত একটি বিল পাশ হয়। সেখানে শুধুমাত্র অস্ত্র তৈরি করার ক্ষেত্রে নিশেধাঙ্গার কথা বলা হয়েছিল। এবার সেই বিলেই কিছু সংশোধন আনা হল। ১২(এ) সেকশন যুক্ত করা হল। তাতে বলা হয়েছে এই ধরণের অস্ত্র তৈরিতে টাকা দিলে আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফলে এই বিল কার্যকর করা হলে এই সংক্রান্ত লেনদেন কড়া ভাবে আটকানো যাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এমনকি এই বিষয়ে আশাবাদী কেন্দ্রীয় সরকারও। শুধু তাই নয়, মানুষের ক্ষতি হতে পারে এমন অস্ত্রের ব্যবহার অনেকটাই কমবে বলেও আশা বিশ্লেষকদের। ফলে এই আইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।