ভারত-জাপান যৌথ নৌমহড়া, চিনের চিন্তা বাড়িয়ে ইন্দো-প্যাসিফিকে প্রভাব বিস্তার দিল্লির
ভারত-জাপান যৌথ নৌবাহিনী অনুশীলনের চতুর্থ সংস্করণ শুরু হল এদিন। জেমিক্স নামক এই নৌ মহড়া দুই বছর অন্তর অন্তর অনুষ্ঠিত হয়। এবং এবছর চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহে এই মহড়ার তাৎপর্য অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এদিন শুরু হওয়া এই নৌ মহড়ায় জাপান এবং ভারতীয় নৌসেনা ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুশীলন চালাবে।

পারস্পরিক বোঝাপড়া আরও দৃঢ় করতে উদ্যোগ
২০১২ সালে পারস্পরিক বোঝাপড়া আরও দৃঢ় করতে এবং ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকায় শান্তি এবং স্থিতিশীলতা কায়েম রাখার লক্ষ্যে এই মহড়া শুরু হয়েছিল। শেষ বার এই যৌথ নৌমহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে। করোনা আবহে এক সময় এই নৌমহড়ার উপর কালো ছাড়া ঘুরঘুর করেলও শেষ পর্যন্ত দুই দেশের নৌ বাহিনী এই অনুশীলন সময় মতো অনুষ্ঠিত হল।

ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রতিনিধিত্ব
দেশীয়ভাবে নির্মিত স্টেলথ ডেস্ট্রয়ার চেন্নাই, টেগ ক্লাস স্টেলথ
রিয়ার কমান্ডের অধীনে ফ্রিগেট তর্কশ এবং অ্যাডমিরাল কৃষ্ণ স্বামীনাথনের (ফ্ল্যাগ অফিসার কমান্ডিং ওয়েস্টার্ন ফ্লিট) অধীনে থাকা ফ্লিট ট্যাঙ্কার দীপক এই অনুশীলনে ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করবে।

জাপানের প্রতিনিধিত্ব
ইকাজুচি রিয়ার অ্যাডমিরাল কনো ইয়াসুশিগের নেতৃত্বে জাপানি সামুদ্রিক স্ব-প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করবে জেএমএসডিএফ শিপস কাগা, ইজুমো ক্লাস হেলিকপ্টার ডেস্ট্রয়ার এবং মিসাইল ডেস্ট্রয়ার। এছাড়াও কমান্ডার এসকর্ট ফ্লোটিলা-২ জাহাজ, পি 8 আই লং রেঞ্জ মেরিটাইম প্যাট্রল বিমান, হেলিকপ্টার এবং যুদ্ধবিমান এই অনুশীলনে অংশ নেবে।

ভারত-জাপান বন্ধুত্ব
করোনা পরবর্তী বিশ্বে বদলে যাবে আন্তর্জাতিক কূটনীতি৷ বাণিজ্যক্ষেত্রে চিনের প্রতি জাপানের যে অতি-নির্ভরশীলতা ছিল, তা থেকে সরে আসতে শুরু করেছে তারা৷ অন্যদিক ভারত ও জাপানের মধ্যে গড়ে উঠেছে দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্ক৷ যা থেকে লাভবান হবে ভারত৷

চিন সম্পর্কে সমানভাবে চিন্তিত ভারত-জাপান
চিন সম্পর্কে সমানভাবে চিন্তিত ভারত ও জাপান। এই অঞ্চলে ভারত ও জাপান যে দৃঢ় কৌশলগত সম্পর্কে আবদ্ধ তা বুঝেছে চিনও। এই আবহে ভারত-জাপান যৌথ মহড়া চিনের জন্যে এক বড় বার্তা। এমনিতেই কোয়াড নিয়ে আলোচনা এগিয়েছে ভআরত, জাপান, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া। তাছাড়া মালাক্কা প্রণালীতে ভারতের আধিপত্ব বিস্তার চিনের জন্যে মাথা ব্যথার কারণ।

প্রভাব বিস্তারের লড়াই
এদিকে দক্ষিণ চিন সাগরে স্পার্টলি ও পার্সেল দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে চিন ওই অঞ্চলের অন্য দেশগুলির সঙ্গে লড়াইয়ে লেগেই আছে৷ মালেশিয়া, ফিলিপিন্স, তাইওয়ান ও ভিয়েতনাম স্পার্টলি দ্বীপপুঞ্জের দাবিদার৷ আর ভিয়েতনাম ও তাইওয়ান পার্সেল দ্বীপপুঞ্জের দাবি করে আসছে৷ দক্ষিণ চিন সাগর বিশ্বের ব্যস্ততম বাণিজ্যিক জলপথ৷ এরই মাঝে এই জলপথে ভারত-জাপানের মতো দুই শক্তিশালী দেশ নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করায় চিন আরও চিন্তিত হয়ে পড়েছে।
লাদাখের পর কাশ্মীরেও চিনের নজর! বেজিংয়ের নির্দেশে ভূস্বর্গে কোন গোলমালের মতলবে আইএসআই