বিহার : চেয়ারে বেঁধে আগুনে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হল এক মহিলাকে!
চেয়ারে বেঁধে আগুনে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হল এক বিবাহিত মহিলাকে। তাঁর নাম সরিতা দেবী (৪২)। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের মুজফফরপুর জেলায়। মহিলা পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
পাটনা, ২৫ অক্টোবর : চেয়ারে বেঁধে আগুনে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হল এক বিবাহিত মহিলাকে। তাঁর নাম সরিতা দেবী (৪২)। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের মুজফফরপুর জেলায়। মহিলা পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। [ধারের ১৫০০ টাকা ফেরত চাওয়ায় হাওড়ায় এক ব্যক্তির গায়ে আগুন]
পুলিশ জানিয়েছে, সরিতা দেবীকে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা এসে জ্যান্ত আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে। তিনি মুজফফরপুরের মোরাউল ব্লকে কেন্দ্রীয় সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করতেন এবং একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। [গাড়ির মধ্যেই স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল চালক স্বামীর বিরুদ্ধে]
সরিতা দেবীকে চেয়ারে বেঁধে বজরং বিহার কলোনির বাড়িতে জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় পুলিশ তাঁর স্বামী ও বাড়িওয়ালাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। [ধর্ষিতার নাম-ধাম ফেসবুকে প্রকাশ করে ভর্ৎসনার মুখে বিহার পুলিশ]
জানা গিয়েছে, সম্ভবত গত রবিবার রাতে সরিতাকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। বাড়ি থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে। সেটিকে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। [বিহারে সাদা খাতা জমা দিয়েও পরীক্ষায় পাশ!]
সেই চিঠিতে নিজের মা-কে উদ্দেশ্য করে সরিতা লিখেছেন, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। তবে পুলিশের দাবি, যেভাবে গোটা ঘটনা ঘটেছে তাতে কোনওভাবেই মনে হচ্ছে না যে এটি আত্মহত্যা। তবে নিশ্চিত না হয়ে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ঘটনার সময়ে ছোট ছেলে আরিয়ানকে নিয়ে বাড়িতে একলাই ছিলেন সরিতাদেবী। বড় ছেলে ধ্রুবকে নিয়ে অন্য জায়গায় থাকেন স্বামী বিজয় নায়েক। তিনি থাকেন সীতামারীতে যা মুজফফরপুর থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে। তবে কয়েকদিন আগে ছোট ছেলে আরিয়ানকেও নিজের মায়ের কাছে রেখে আসেন। তারপরই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
প্রসঙ্গত, বিহারে ২০১৫ সালের হিসাব ধরলে দেখা যাবে যে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ক্ষেত্রে সংখ্যা কিছুটা কমেছে। সারা দেশে মোট অপরাধের ১০ শতাংশ বিহারে সংঘটিত হয়।