চড়ছে বিহার ভোটের পারদ! লালুর সঙ্গে দেখা হেমন্তের, তবে কি জোটেই ভোটের পরিকল্পনা ?
দিন যত গড়চ্ছে ততই চড়ছে বিহার ভোটের পারদ। জোট নিয়ে শাসক-বিরোধী দুই শিবিরেই চলছে নিত্য নতুন তরজা। এমতাবস্থায় শনিবার আরজেডি সভাপতি লালুপ্রসাদ যাদবের সঙ্গে দেখা করলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।
এদিকে ঝাড়খণ্ডের জোট সরকারের শরিক হিসাবে রয়েছে আরজেডি। জোটের অন্য দুই শরিক জেএমএম এবং কংগ্রেস। এবার বিহার ভোটে হেমন্ত সোরেনের জেএমএম কি পদক্ষেপ নেয় সেই দিকেই তাকিয়ে ছিল রাজনৈতিক মহল। জোট নিয়েও তৈরি হচ্ছিল একাধিক জটিলতা। তবে এদিন সে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে হেমন্ত সোরেন স্পটতই জানান তারা ভোটে লড়তে চলেছেন আরজেডি-র সঙ্গে জোটেই।
সূ্ত্রের খবর, এর আগে ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় নির্বাচনী লড়াইয়ে বিরোধী জোটের কাছে ১০-১২টি আসন চেয়েছিল হেমন্ত সোরেনের দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মরচা। যা নিয়ে তৈরি হয় মতপার্থক্য। তবে বর্তমানে নিজের অবস্থান থেকে খানিক সরে এসেছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা বিরোধী জোটে খুব বেশি হলে ২-৩টি আসন পেতে পারে জেএমএম।
এদিকে শারীরিক অসুস্থতার জন্য গত কয়েক দিন ধরেই রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসে ভর্তি রয়েছেন লালুপ্রসাদ। এদিন সেখানেই ডক্টরর্স বাংলোয় ঘণ্টাখানেকেরও বেশি সময় লালু সঙ্গে ভোট প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা সারেন হেমন্ত। তারপরই আরজেডি-র সঙ্গে ভোটে একসাথে লড়ার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিতে দেখা যায় তাকে। এদিকে এই জোটে আরজেডি ছাড়াও একাধিক বাম দল গুলিও থাকছে বলে জানা যাচ্ছে।
এদিকে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, করোনা আবহের মধ্যেই অক্টোবর নভেম্বরের মধ্যেই ভোট হতে চলেছে বিহারে। তাই বর্তমানে এক বিন্দুও সময় নষ্ট না করে জোরকদমে ভোট প্রস্তুতিতে নেমেছে প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দল। দলীয় কোন্দল, ভেদাভেদি সরিয়ে পুনরায় বিহারের মসনদে বসতে মরিয়া জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। এবারের ভোটেও বিজেপির সঙ্গে জোট করেই ভোটে লড়তে চলেছেন বিহার রাজনীতির অন্যতম প্রধান এই মুখ।