বিহার শেল্টার হোম মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন মন্ত্রীর অবশেষে আত্মসমর্পণ
অবশেষে ধরা দিতেই হল মুজফফরপুর শেল্টার হোম মামলার অন্যতম অভিযুক্ত তথা বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী মঞ্জু বর্মাকে
বেশিদিন পালিয়ে থাকতে পারলেন না। অবশেষে ধরা দিতেই হল মুজফফরপুর শেল্টার হোম মামলার অন্যতম অভিযুক্ত তথা বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী মঞ্জু বর্মাকে। এদিন বেগুসরাই আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। নীতীশ কুমারের মন্ত্রিসভায় ছিলেন তিনি। তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না? সেই প্রশ্নে আদালতে মুখ পুড়েছিল বিহার সরকারের। এখন তিনি আত্মসমর্পণ করায় কিছুটা স্বস্তিতে নীতীশের সরকার।
পুলিশকে তুলোধোনা
বিহার সরকার শেল্টার হোম মামলায় যেভাবে তদন্ত করেছে তা নিয়ে প্রকাশ্যেই আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। একজন মন্ত্রী যেহেতু অভিযুক্ত সেহেতু তাঁকে ধরতে পারছে না পুলিশ, এই মর্মে রীতিমতো তুলোধোনা করে বিহার পুলিশকে।
অভিযুক্ত মঞ্জুর স্বামীও
গত অগাস্টে মঞ্জু বর্মা বিহারের মন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন। কারণ তাঁর স্বামী চন্দ্রশেখর বর্মার বিরুদ্ধে শেল্টার হোম মামলায় বড় অভিযোগ উঠেছে। মূল অভিযুক্ত ব্রজেশ ঠাকুরের সঙ্গে রীতিমতো ঘনিষ্ঠতা রয়েছে চন্দ্রশেখরের।
কেন খুঁজে পায়নি পুলিশ
আদালতের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও এর আগে রাজ্য পুলিশ মঞ্জু বর্মাকে খুঁজে পায়নি বলে জানায়। তিনি মন্ত্রী বলে এই নিয়ম কিনা তা জানতে চায় আদালত। মূলত যৌন হেনস্থার অভিযোগ সত্ত্বেও কেন পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি, তাই জানতে চায় আদালত। ফলে চাপ বেড়ে গিয়েছিল পুলিশের।
বিহারের শেল্টার হোমে দুর্নীতি
বিহারের শেল্টার হোমে ৪০জন নাবালিকার যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। সেই হোমের মালিক ব্রজেশ ঠাকুরের পরিচিত হলেন মঞ্জু বর্মার স্বামী চন্দ্রশেখর বর্মা। ঘটনার পরে মঞ্জু বর্মার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ কার্তুজ উদ্ধার করে। অস্ত্র আইনে মামলা হয়। তবে মন্ত্রী মঞ্জু বর্মাকে পুলিশ নাকি খুঁজে পায়নি। যার জেরে সুপ্রিম কোর্টে তিরস্কৃত হয় বিহার পুলিশ।