জাত অনুযায়ী আলাদা ক্লাসরুমে পড়ুয়াদের বসার ব্যবস্থা! হইচই বিহারে
গো-বলয়ে জাতপাত যে বড় ইস্যু তা নিয়ে বহুবার চর্চা হয়েছে। এই জাতপাতের কারণে নানা ঘটনাও ঘটেছে। তবে তার বেড়াজাল ভেঙে যে মানুষ এখনও বেরিয়ে আসতে পারেনি তার উদাহরণ মিলল বিহারে।
গো-বলয়ে জাতপাত যে বড় ইস্যু তা নিয়ে বহুবার চর্চা হয়েছে। এই জাতপাতের কারণে নানা ঘটনাও ঘটেছে। তবে তার বেড়াজাল ভেঙে যে মানুষ এখনও বেরিয়ে আসতে পারেনি তার উদাহরণ মিলল বিহারে। নীতীশ কুমারের রাজ্যে সরকার পরিচালিত উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে জাতপাতের ভিত্তিতে পড়ুয়াদের বসার ঘর আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। আর সেটা এখন থেকে নয়, গত চারবছর ধরে চলছে বলে খবর।
বিহার স্কুল শিক্ষা দফতর এই ঘটনা সম্পর্কে অবগত ছিল না বলে জানিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে লালগঞ্জের জিএ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে। জানাজানির পরই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সরকার থেকে তদন্তের নির্দেশ এসেছে।
সূত্রের খবর, পড়ুয়ারা আলাদা করে মুখ না খোলায় বিষয়টি এতবছর ধরে চলে আসছিল। পড়ুয়ারা একসঙ্গে স্কুলে আসত। ছুটির সময়ও এক ছিল। শুধু জাতের ভিত্তিতে আলাদা ক্লাসে বসতে হচ্ছিল। দলিত ও মুসলমান পড়ুয়াদের অন্য জাতের ক্লাসরুমে ঢুকতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি বলে খবর।
শুধু হিন্দু মুসলমান নয়, উচ্চ বর্ণ, অন্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণি, দলিতদের জন্যও ক্লাসরুম ভাগ হয়েছিল। সকলের আলাদা হাজিরার খাতা ছিল বলেও এখন উঠে এসেছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মীনা কুমারী সাফাই গেয়েছেন, এর ফলে পড়াশোনার কাজ সহজ হয়েছে। কাউকে বঞ্চিত করা হয়নি বলেও দাবি করেছেন তিনি। তবে বিহারের শিক্ষামন্ত্রী কৃষ্ণ নন্দন প্রসাদ বর্মা এই ঘটনার কড়া নিন্দা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন।