বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক শেষ বিধায়কদের বার্তা, তেজস্বীকে সঙ্গে নিয়ে বিকেল ৪টেয় রাজ্যপালের সাক্ষাতে নীতীশ
বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক শেষ বিধায়কদের বার্তা, তেজস্বীকে সঙ্গে নিয়ে বিকেল ৪টেয় রাজ্যপালের সাক্ষাতে নীতীশ
বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক শেষ। অবশেষে দলের বিধায়কদের বার্তা দিলেন নীতীশ কুমার। জল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন তিনি। তেজস্বীকে সঙ্গে নিয়ে বিকেল চারটের সময় রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন নীতীশ কুমার। শেষ পর্যন্ত বিজেপির হাত ছেড়ে মহাজোটের হাত ধরলেন নীতীশ। বিজেপি যে তাঁকে গ্রাস করার চেষ্টা করছিল সেটা আগে আঁচ করতে পেরেই মহাজোটের হাত ধরেন তিনি।
বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক শেষ
শেষে জল্পনাই সত্যি হল। বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক চ্ছেদের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিলেন নীতীশ নিজেই। পাটনায় নিজ বাসভবনে দলীয় বিধায়কদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন তিিন। সেই বৈঠকেই বিধায়কদের জানিয়ে দিয়েছেন এই যাত্রায় বিজেরির সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করছে জেডিইউ। অর্থাৎ বিহারে আর বিজেপি-জেডিইউ জোট সরকার থাকছে না। এই নিয়েই গত রবিবার থেকে জল্পনার পারদ চড়েছিল। শেষ পর্যন্ত নীতীশই জানিয়ে দিলেন সেকথা।
বিকেলে ৪টেয় রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক
সকাল ১১টা থেকে বিহারে নীতীশ কুমারের রাজ্যপালের কাছে সময় চেয়েছিলেন। দুপর সাড়ে বারোটা থেকে ১টার মধ্যে সময় চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রাজ্যপাল তাঁকে বিকেল ৪টেয় সময় গিয়েছেন। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকে সঙ্গে নিয়েই নীতীশ রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য নীতীশকে সমর্থনে সম্মতি জানিয়েছে আরজেডি। বিহারে বিধানসভা নির্বাচনে জেডিইউ-র থেকে ভাল ফল করেছিল আরজেডি। বিজেপির জোরেই এক প্রকার সরকার গড়েছিলেন নীতীশ। নইলে সরকার গড়ার মত সংখ্যা নীতীশের কাছে ছিল না।
মহাজোটের বৈঠক
বিহারের এই রাজনৈতিক সংকটে কোন পদক্ষেপ করা উচিত তা নিয়ে মহাজোট বৈঠকে বসেছিল। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের বাড়িতে বসেছিল বৈঠক। সেই বৈঠক বাম বিধায়করা উপস্থিত ছিলেন। আজেডির বিধায়ক, সাংসদরা উপস্থিত ছিলেন সেই বৈঠকে। তাতে সিদ্ধান্ত হয়েছে বিজেপির হাত ছাড়লে নীতীশকে সমর্থন করতে প্রস্তুত তাঁরা। বামেরা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকে সমর্থন জানিয়েছেন। এদিকে আবার কংগ্রেস জানিয়েছেন নীতীশ মহাজোটের হাত ধরলে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তিনিই থাকবেন।
পদত্যাগ করছেন বিজেপি বিধায়করা
সম্পর্কের তিক্ততা যে বেড়েছে সেটা নীতী আয়োগের বৈঠকে না গিয়েই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন নীতীশ কুমার। তারপরেই আবার নীতীশ কুমার ফোন করেন সোিনয়া গান্ধীকে। তাতে আরও ফাটল চওড়া হয়। সূত্রের খবর গতকালে রাতেই নাকি নীতীশের মান ভাঙাতে ফোন করেছিলেন অমিত শাহ। মঙ্গলবার ভোরে ফোন করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। কিন্তু তাতে বরফ গলেনি। নীতীশের একরোখা সিদ্ধান্ত জানার পর বিহার মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে চলেেছন ১৬ জন বিজেপি বিধায়ক।
বিহারে কি সরকার পতন আসন্ন? রাজ্যপালের কাছে সময় চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার