আমেরিকা পারেনি, তবে আশ্চর্যজনকভাবে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে সফল হয়েছে বিহার
আমেরিকা পারেনি, তবে আশ্চর্যজনকভাবে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে সফল হয়েছে বিহার
আমেরিকায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করে সেই দেশে, যে কারণে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রচারের সময় এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ভোলেননি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেরকমই বিহার নির্বাচনের সময়ও দেশে এরকম কিছু একটা ঘটবে বলে প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু এক্ষেত্রে সমীকরণটা উল্টো হয়ে গেল।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সমীক্ষা অনুসারে তাদের বিশ্লেষণ করা রাজ্যের কোভিড-১৯ কেসের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের দিন ঘোষণা করার পর থেকে গণনা পর্যন্ত বিহারে আশ্চর্যজনকভাবে করোনা ভাইরাস কেস নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। ওই সমীক্ষা অনুযায়ী, বিহার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয় ২৫ সেপ্টেম্বর, সেই সময় রাজ্যে মোট করোনা সংক্রমণের কেসের সংখ্যা ছিল ১,৭৪,০০০। ওই একই দিনে করোনায় সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ছিল ১,৬০,০০০।
২৮ অক্টোবর যখন প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হয় রাজ্যে, সেই সময় মোট নিশ্চিত কেসের সংখ্যা ছিল বিহারে ২,১৩,০০০ এবং সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন ২,০৩,০০০ জন। ৩ নভেম্বর যখন দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচন হয়, তখন রাজ্যে ২,১৭,০০ নিশ্চিত কোভিড কেস ছিল এবং সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন ২,০৯,০০০ জন। ৭ নভেম্বর তৃতীয় ও শেষ পর্যায়ের নির্বাচনে কোভিড কেসের সংখ্যা ছিল ২,২০,০০০ এবং সেরে উঠেছিলেন ২,১২,০০০ জন।
১০ নভেম্বর বিহার নির্বাচনের গণনার দিন বিহারে করোনা ভাইরাসের সংখ্যা দাঁড়িয়ে ছিল ২,২২,০০০ এবং সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন ২,১৫,০০০জন। এটা না স্বীকার করে উপায় নেই যে বিহারে অত্যন্ত ঘন জনবসতিপূর্ণ রাজ্য এবং যে কারণে করোনা ভাইরাস বৃদ্ধি হওয়া কোনও অস্বাভাবিক বিষয় নয়, কিন্তু অবাক করার ব্যাপার হল এই যে বিধানসভা নির্বাচনের সময় বেশ কিছু রাজনৈতিক জনসভা ও জন সমাগম হওয়া সত্ত্বেও বিহার যেভাবে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করেছে তা সত্যিই প্রশংসাযোগ্য।