বিহারের এক ব্যক্তি তাঁর সম্পত্তির অর্ধেক লিখে দিল হাতিদের নামে
গর্ভবতী হাতির নির্দয় মৃত্যু সম্প্রতি খবরের শিরোনামে এনেছে কেরলকে। কিন্তু সেই হাতির খবরই মন জয় করল সকলের। বিহারের এক ব্যক্তির উদারতা দেশবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ওই ব্যক্তি ঠিক করেছেন যে তিনি তাঁর সম্পত্তির অর্ধেক তাঁর পোষ্য দুই হাতি মোতি ও রাণির নামে উইল করে যাবেন।

আখতার ইমাম বলেন, 'মানুষের চেয়ে প্রাণীরা অনেক বিশ্বস্ত হয়। আমি বহু বছর ধরে হাতিদের সংরক্ষণের কাজের সঙ্গে যুক্ত। আমি চাই না আমার মৃত্যুর পর আমার হাতিরা অনাথ হয়ে যাক।’ তিনি জানান হাতি দু’টি তাঁর সন্তানের মতো এবং তিনি তাঁদের ছাড়া থাকতে পারেন না।
মোতি ১৫ বছরের ও রাণির বয়স ২০। তারা দু’জনেই সবসময় আখতার ইমামের সঙ্গে থাকেন। যিনি হাতিদের অলাভদায়ক সংগঠন চালান। ইমাম জানিয়েছেন যে তিনি তাঁর জমি, যার মূল্য কয়েক কোটি টাকার, সেটি হাতিদের নামে করে যাবেন, কারণ তাঁর বিশ্বাস রয়েছে যে অলাভজনক সংগঠন তাঁর মৃত্যুর পর হাতিদের তদারকি করবে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, হাতিরা তাঁকে বহুবার স্থানীয় গুন্ডাদের হাত থেকে বাঁচিয়েছিল। ইমাম বলেন, 'একবার আমায় খুনের চেষ্টা করা হয়। সেই সময় হাতিরা আমায় বাঁচিয়েছিল। যখন কিছুজন ব্যক্তি আমার ঘরে পিস্তল নিয়ে ঢোকার চেষ্টা করছিল আমায় সতর্ক করে দেয় হাতিরা এবং আমিও বিপদ শঙ্কা থেকে সজাগ হয়ে গিয়েছি।’
একদিকে যখন হাতিদের রক্ষা করতে সম্পত্তি তাদের নামে করা হচ্ছে অন্যদিকে কেরলের পালাক্কাদে বাজি ভর্তি ফল খেয়ে যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছিল গর্ভবতী হাতি। ১৫ বছরের হাতির মুখে বহু আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে এবং ২৭ মে ভেলিয়ার নদীতে মারা যায় হাতিটি। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে জনতা। জনতার চাপে পড়ে কেরল সরকার ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয় ও এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত একজনকে গ্রেফতার করে।

মহামারীর কারণে আমূল পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে উপভোক্তাদের আচরণে, বলছে সমীক্ষা