ভয়াবহ চেহারা নিচ্ছে বিহারের বন্যা পরিস্থিতি! সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত ১২টি জেলার ৩৮ লক্ষ মানুষ
আরও খারাপ হচ্ছে বিহারের বন্যা পরিস্থিতি, প্লাবিত ১২টি জেলা মৃত ১১
ক্রমেই খারাপ হচ্ছে বিহারের বন্যা পরিস্থিতি। রাজ্যের অনেক গ্রামে ইতিমধ্যেই প্রবেশ করেছে বন্যার জল। রাজ্যের প্রায় সমস্ত নদী-নালার জল বিপদ সীমার উপর দিয়ে বয়ে চলায় প্লাবিত হয়েছে প্রায় ১২ টি জেলা। একে মহামারী উপরন্তু এই বন্যা পরিস্থিতির জেরে কার্যত অসহায় হয়ে পড়েছেন বিহারের মানুষ।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩৮ লক্ষ মানুষ, মৃত ১১
জানা যাচ্ছে, এই ভয়াবহ বন্যায় ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত ১২ টি জেলার মোট ১০২ টি ব্লকের প্রায় ৯০১টি গ্রাম পঞ্চায়েত। এই অঞ্চলের প্রায় ৩৮ লক্ষ মানুষ বিপুল ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, পাশাপাশি বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১১জন।
বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে রাজ্যের অসংখ্য নদী
এরমধ্যেই নয়া আশঙ্কা। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছেন বাড়তে পারে কোসির জল। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় বীরপুর ব্যারেজের কাছে কোসির জলের স্তর ছিল ১.৮৩৮ লক্ষ কিউসেক, যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৮৬৮৬ লক্ষ কিউসেক। পাশাপাশি, গঙ্গা, বাগমতী, বুধী গণ্ডক, কমলা বালান, মহানন্দা সহ রাজ্যের অসংখ্য নদী বইছে বিপদ সীমার উপর দিয়ে।
ত্রাণই ভরসা, চলছে কমিউনিটি কিচেনও
মহামারীর পাশাপাশি এই ভয়াবহ বন্যা কার্যত সর্বহারা করে দিয়েছে বিহারের কিছু অঞ্চলের মানুষদের। পরিস্থিতি সামাল দিতে, ইতিমধ্যেই খোলা হয়েছে ১৯ টি ত্রাণ শিবির। চলছে প্রায় হাজারটি কমিউনিটি কিচেনও। যদিও এই ভয়াবহ ক্ষতির কাছে এই সাহায্য কতটা স্বস্তি জোগাতে পারছে বিহারের মানুষদের, সেই প্রশ্ন থেকেই যায়।জানা যাচ্ছে, ত্রাণ শিবিরে অংশ নিয়েছেন প্রায় ২৫ হাজার মানুষ, এবং প্রায় ৫লক্ষ মানুষের খাওয়ার জোগাচ্ছে কমিউনিটি কিচেনগুলিই।
চলছে উদ্ধারকাজ, ভেসে গেছে ঘর-বাড়ি
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব রামচন্দ্র দো জানান, এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ দলগুলি সমস্ত বন্যাকবলিত জেলাগুলিতে ইতিমধ্যেই উদ্ধারকার্য শুরু করেছে।এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা গেছে প্রায় তিন লাখ মানুষ। বাড়িঘর ভেসে যাওয়ায় স্থানীয় পাকাবাড়ির ছাদেও আশ্রয় নিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। পূর্ব চম্পারার সীতামারী, মুজাফফরপুর, দরভাঙ্গা, গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি বেশ মারাত্মক বলে খবর।
যোগীর বিরুদ্ধে দাঙ্গায় উস্কানির অভিযোগ আনা সমাজসেবিকে ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন সাজা