বিহার নির্বাচন ২০২০ এর দ্বিতীয় দফা কেন গুরুত্বপূর্ণ ! ২০১৫ ভোটের ফলাফলে হারজিতের পরিসংখ্যান একনজরে
বিহার নির্বাচন ২০২০ এর দ্বিতীয় দফা কেন গুরুত্বপূর্ণ ! ২০১৫ ভোটের ফলাফলে হারজিতের পরিসংখ্যান একনজরে
সমীক্ষার ফল আর ভোটের ফলাফল ভারতের রাজনীতির ইতিহাসে বহুবার এক সুরে কথা বলেনি! এমন কিছু প্রেক্ষাপটকে সঙ্গে নিয়েই রাত পোহালেই বিহার বিধানসভা নির্বাচন (Bihar assembly elections 2020) এর দ্বিতীয় দফা (second phase)। মূলত , দ্বিতীয় দফার ৯৪ আসনের মধ্যে হাইপ্রোফাইল আসন ১১ টি। আর রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, বিহারের ভোটের এই দ্বিতীয় দফার ট্রেন্ডই স্পষ্ট করে দেবে বিহারের গদিতে আগামী দিনে কারা বসছে। কেন এই ৯৪ টি আসনের ভোট পর্ব গুরুত্বপূর্ণ দেখে নেওয়া যাক।
বিহার নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোটমানচিত্রে একনজরে
২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় দ্বিতীয় দফার ভোটে ৯৪ টি আসনের মধ্যে ৫৬ টিতে লালুপ্রসাদের আরজেডি লড়াই করছে। বিজেপির সঙ্গে তাদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে ২৭ টি আসনে। জেডিইউয়ের সঙ্গে ২৪ টি আসনে লড়বে আরজেডি। বাকি আসনে ভিআইপি দলের সঙ্গে লড়বে তারা। দ্বিতীয় দফার ভোটে ৪৬ টি আসনে লড়বে বিজেপি। জেডিইউ লড়বে ৪৩ টি আসনে। কংগ্রেস ২৪ টিতে
দ্বিতীয় দফায় হাড্ডাহাড্ডা লড়াই
মূলত লালুর শক্তি প্রদর্শনের জায়গা এই দ্বিতীয় দফার ভোট। আর সেই শক্তি যদি নীতীশ শিবির দুরমুশ করতে পারে , তাহলে ভোটভাগ্য এনডিএর সমর্থনে আসতে পারে। অন্যদিকে, দ্বিতীয় দফার প্রায় প্রতিটি আসনই লালু প্রসাদের আরজেডির পোক্ত জমি। ফলে লড়াই দ্বিতীয় দফাতেই হবে হাড্ডাহাড্ডি।
বিহারে ২০১৫ সালের ভোটের ফলাফল ও দ্বিতীয় দফার ভোট
যে সমস্ত এলাকায় বিহারে দ্বিতীয় দফার ভোট হতে চলেছে, সেখানে গত ২০১৫ সালের নির্বাচনে ৯৪ টি আসনে ৩৩ টিতে লালুর আরজেডি জিতেছিল। সেই সময় লালুর পাশে নীতীশের মহাজোটের সমর্থন ছিল। এদিকে, এই ৯৪ আসনে নীতীশের জেডিইউ ৪১ টির মধ্যে ৩০ টি আসনে জিতেছিল।
২০১৫ সালে বিহারের ফলাফল ও বিজেপি
২০১৫ সালে বিজেপি ৬৩ টির মধ্যে ২০ টি আসনে জিতেছিল। কংগ্রেস এখানে ৭ টি আসন জিতেছে। পাসওয়ান ক্যাম্পের এলজেপি এখানে প্রথমবার একা লড়ছে। এর আগে ২০১৫ সালের নির্বাচনে চারা বিজেপির সঙ্গে জোটে লড়ে ২ টি আসন জিতেছিল। যদিও লড়েছিল ২১ টিতে। সিপিআইএম এল জিতেছে ১ টি। নির্দল ১টিতে জয়ী।
বিহারে দ্বিতীয় দফায় কেন গুরুত্বপূর্ণ আসন পরাসা?
চন্দ্রিকা রাই সারানের পারাসা কেন্দ্র থেকে লড়ছেন। পরাসাতে তিনি ১৯৮৫ থেকে ২০১৫ব সাল পর্যন্ত জিতে এসেছেন। তবে আগে তিনি ছিলেন লালু শিবিরের আরজেডি প্রার্থী, এখন তিনি নীতীশ শিবিরের জেডিইউ প্রার্থী। তাঁকে লড়াই দিতে চলেছেন ছোটে লাল রাই। যিনি জেডিইউ থেকে আবার আরজেডিতে এসেছেন। যিনি আগে চন্দ্রিকার কাছে ২০১৫ সালে হেরেছেন।
রঘোপুর, আরজেডি ও বিহার ভোট
RJD সুপ্রিমো লালু প্রসাদের ছোটছেলে তথা বিহারে বিরোধী মহাজোটের মুখ তেজস্বী যাদব লড়ছেন বিহারের আরজেডি দূর্গ রঘোপুর থেকে। এই নিয়ে তিনি দ্বিতীয়বার এই আসনে লড়ছেন। এর আগ তিনি ২০১৫ সালে এই আসন থেকে বিজয়ী বিধায়ক। তাঁর বিরুদ্ধে লড়ছেন নীতীশের জেডিইউয়ের সতীশ কুমার। প্রসঙ্গত, সতীশ কুমার ২০১৫ সালে হারলেও, ২০১০ সালে তিনিই লালুপত্নী রাবড়ী দেবীকে এই আরজেডি ঘাঁটিতে পরাস্ত করেছিলেন। ফলে সমানে সমানে লড়াই এখানে আশা করা যাচ্ছে।
হানসাপুরের স্টার প্রার্থী
লালু প্রসাদের বড় ছেলে তেজপ্রতার আরজেডি থেকে হানসাপুর কেন্দ্রে লড়ছেন।তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছেন জেডিইউয়ের রাজকুমার রায়। ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ সালে এই রাজকুমার হানসাপুরের বিধায়ক ছিলেন।
বাঁকিপুরে নেতাপুত্রের ভোটযুদ্ধ
বিহারের বাঁকিপুর কেন্দ্র থেকে শত্রুঘ্ন সিনহার ছেলে লাভ সিনহা ভোটে লড়ছেন। তিনি কংগ্রেসের টিকিটে এখান থেকে লড়ছেন। এলাকায় কায়স্থ ভোট খববই বড় ফ্যাক্টর। এদিকে, তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছেন বিজেপির নীতীন নবীন। এখানের অন্যতম স্টার প্রার্থী প্লুরাল পার্টির পুষ্পম প্রিয়া চৌধুরী।
পাটনা সিটির ভোট অঙ্ক একনজরে
বিজেপির মন্ত্রী নন্দ কিশোর যাদব লড়ছেন পাটনা সিটি থেকে। মূলত কুশওয়াহা গোষ্ঠীর দাপটে থাকা পাটনা সিটি ব্যবসায়ীদের শহর। সেখানে কংগ্রেসের হয়ে প্রবীণ কুশওয়াহা ভোটে দাঁড়িয়েছেন। এখানের লড়াই যাদব বনাম কুশওয়াহা গোষ্ঠীর। ফলে এই এলাকাও নজরে রয়েছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
শুভেন্দুর নামে অঙ্গীকার ব্যানার কাঁথিতে, প্রচারে দাদার অনুগামীরা, হু হু করে স্বাক্ষর হচ্ছে পোস্টারে