নির্বাচনে নয়া রেকর্ড বিজেপির! ফলাফল প্রকাশের আগেই বিহারে ইতিহাস সৃষ্টি পদ্ম শিবিরের
বিহার বিধানসভা নির্বাচনের মাঝেই বিদ্রোহে জর্জরিত বিজেপি। এবং বিজেপি তরফ থেকে টিকিট না পায়া অনেকেই এলজেপির পথে হেঁটেছেন। এরকমই ৪৩ জন উচ্চপদস্থ বিজেপি কর্মীকে এখনও পর্যন্ত দল থেকে বহিষ্কার করতে বাধ্য হয়েছে পদ্ম শিবির। বহিষ্কৃত নেতাদের অধিকাংশই বর্তমান দলের উঁচু পদে রয়েছেন বা অতীতে বিধায়ক থেকেছেন।
দল ছেড়ে চলে যাওয়া নেতাদের সংখ্যা উর্ধ্বমুখী
এদিকে বিজেপি থেকে বিদ্রোহ করে দলত্যাগী হওয়া নেতাদের মধ্যে যদি জেলা স্তরের সংখ্যার হিসাব করা হয়, তাহলে গ্রাফটা আরও উর্ধ্বমুখী হচ্ছে। এই পরিস্থিতি বিজেপির বেহাল দশা হয়েছে বিহারে। এত সংখ্যক নেতা দল থেকে বেরিয়ে দলের বা জোট সঙ্গীর বিরুদ্ধেই ভোটে দাঁড়ানোর ঘটনা এই প্রথম।
প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরই বিদ্রোহ
বিহারে বিজেপির তরফে প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আগে পর্যন্ত দলের মধ্যে মতবিরোধ থাকলেও দল ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার এই হিড়িক দেখা যায়নি। তবে এই দল ছাড়ার হিড়িক শুরু হয় রাজেন্দ্র সিংয়ের হাত ধরে। ২০১৫ সালে বিহারের রাজনীতিতে বিজেপির অন্যতম মুখ ছিলেন এই রাজেন্দ্র সিং। বিজেপির দুর্গ হিসাবে পরিচিত দিনারা আসন থেকে দাঁড়িয়েছিলেন রাজেন্দ্র। তবে জেডিইউ প্রার্থীর কাছে হেরে গিয়েছিলেন। এবার আর টিকিট পাননি দলের থেকে। এরপরই এলজেপিতে যোগ দেন তিনি।
এলজেপি ফ্যাক্টর
৩৭ বছর ধরে আরএসএস-এর সঙ্গে যুক্ত থাকা রাজেন্দ্র সিং পরিচিত ছিলেন তাঁর সাংগঠনিক ক্ষমতার জন্য। এহেন রাজেন্দ্র সিংকেই এবার টিকিট দিতে চলেছেন চিরাগ পাসোয়ান। শুধু রাজেন্দ্র নয়, প্রথম দফায় আরও পাঁচজন বিজেপি নেতাকে নিজের দলের টিকিট দিয়ে এনডিএ-তে আরও বড় চিড় ধরানোর পথ চওড়া করেছেন এলজেপি প্রধান চিরাগ পাসোয়ান।
বিদ্রোহের আগুনে জল ঢালার আপ্রাণ চেষ্টা
এই ঘটনার পরই বিহার জুড়ে অন্তত ১২টি আসনে বিজেপি ঘোষিত প্রার্থীর বিরুদ্ধেই নির্বাচনী ময়দানে নেমে যান সেই এলাকার প্রভাবশালী কোনও এক বিজেপি নেতা। উচ্চস্তরীয় নেতারা এই বিদ্রোহের আগুনে জল ঢালার আপ্রাণ চেষ্টা করলেও পর পর জেলায় নেতারা দল ছাড়তে শুরু করেন। এহেন বিদ্রোহের পরিস্থিতি বিজেপিতে কোনও রাজ্যে উপস্থিত হয়নি।
ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্খার সামনে জোট ধর্মের হার
এদিকে ২০১৫ সালের নির্বাচনে বিজেপি বিহারের ১৫৭টি আসনে নির্বাচন লড়েছিল। এবছর বিহারে বিজেপি লড়ছে মাত্র ১১০টি আসনে। তাই কোনও নেতার ভুল না থাকা সত্ত্বেও অনেকেই যে টিকিট পাবেন না, তা এক প্রকার প্রথম থেকেই আন্দাজ করেছিলেন অনেকে। তবে ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্খার সামনে জোট ধর্মকে উপরে রাখতে পারেননি অধিকাংশ উপেক্ষিত নেতাই।
গোপন আতাঁত
এদিকে বিজেপি-জেডিইউর অস্বস্তি বাড়িয়ে বিদ্রোহীদের আশ্রয় দিতে শুরু করেছেন চিরাগ পাসোয়ান। এদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন যে আসলে নীতীশকে চাপে রাখতেই পিছন থেকে এলজেপিকে সাহায্য করছে বিজেপি। এবং বিদ্রোহীদের এলজেপির শিবিরে পাঠানোও আসলে বিজেপির চাল। যদিও বিহার প্রদেশের প্রধান সঞ্জয় জয়সওয়াল দাবি, বিহারে এনডিএর মুখ্যমন্ত্রী পদ প্রার্থী জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার।
তেজস্বীর তেজে জল ঢালতে বিজেপির বর্ষণ, লালুপুত্রকে পরীক্ষার জুজু দেখাল পদ্ম শিবির