দেবী-বন্দনার পূণ্যলগ্নেই ‘ভবিষ্যৎ’ স্থির করে ফেললেন মুখ্যমন্ত্রী, দলে নতুনের আগমনি
দেবীপক্ষের পূণ্যতিথিতে দলের ভবিষ্যৎ স্থির করে ফেললেন মুখ্যমন্ত্রী। দলের সহ-সভাপতির পদে অভিষিক্ত হলেন সদ্য দলের যোগদান করা এক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ।
দুর্গাবন্দনার শুরু হয়েছে মঙ্গলবার সকালেই। বাংলায় তো রমরমা উৎসব। দেশের অন্য রাজগুলিতেও শুরু হয়েছে মা দুর্গার আরাধনা। এরই মধ্যে দেবীপক্ষের এই পূণ্যতিথিতে দলের ভবিষ্যৎ স্থির করে ফেললেন মুখ্যমন্ত্রী। দলের সহ-সভাপতির পদে অভিষিক্ত হলেন সদ্য দলের যোগদান করা এক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ। পরিবারতন্ত্রকে মুতোর জবাব দিয়েই অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল জনতা দল ইউনাইটেড সংগঠনকে মজবুত করতে প্রশান্ত কিশোরকে দলে নিয়েছে। সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে প্রশান্ত কিশোর নাম লিখিয়েছেন জেডিইউ-তে। তাঁকেই এবার দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গুরু দায়িত্ব দিলেন জেডিইউ সভাপতি নীতীশ কুমার। বিহারে লালুপ্রসাদ যাদবের দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার পর দলে বিভাজনের সৃষ্টি হয়েছিল।
এবার প্রশান্ত কিশোরের মতো একজন বিশেষজ্ঞকে গুরু দায়িত্ব দিয়ে দলকে শক্তিশালী করার রাস্তায় হাঁটলেন জেডিইউ সুপ্রিমো। নীতীশ এবার প্রশান্ত কিশোরের মতো একজন নবাগতকে দলের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই জাতীয় রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন।
Election strategist Prashant Kishor, who joined JDU last month, has been appointed the National Vice-President of the party. (file pic) pic.twitter.com/lLGbckybzs
— ANI (@ANI) October 16, 2018
প্রশান্ত কিশোর ২০১৪ সালে ছিলেন বিজেপির মুখ নরেন্দ্র মোদীর প্রচার পরিকল্পনায়। তার আগে তিনি রাষ্ট্রসংঘে স্বাস্থ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। ২০১৪ সালে মোদীর সাফল্যের পিছনে তাঁর হাত রয়েছে বলে এখনও মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এরপর তিনি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৯-এর আগে কংগ্রেস ছেড়ে তিনি ফেরেন বিজেপির সঙ্গী জেডিইউয়ে।
বিহার বিধানসভা নির্বাচনে যখন কংগ্রেস-জেডিইউ-আরজেডির মহাজোট হয়েছিল, তখন প্রশান্ত কিশোর ছিলেন নীতীশ কুমারের প্রচার পরিকল্পনার দায়িত্বে। এবার তাঁকেই নিজের করে নিলেন জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ কুমার। তাঁর আগমনে দলের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়বে বলেই মনে করেন ডেজিইউ মুখপাত্র কেসি ত্যাগী।