মোদীর সঙ্গে সমঝোতার ‘শর্ত’ নীতীশের, কষে দিলেন বিহার লোকসভা আসনের সমীকরণ
বিজেপির সঙ্গেই জোটে থাকতে চায় জনতা দল ইউনাইটেড। একইসঙ্গে আসন সমাঝোতারও বার্তা দিয়ে দিল তারা।
বিজেপির সঙ্গেই জোটে থাকতে চায় জনতা দল ইউনাইটেড। একইসঙ্গে আসন সমাঝোতারও বার্তা দিয়ে দিল তারা। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিহার থেকে অন্তত ১৭টি আসন তাঁদের ছাড়তে হবে বলে দাবি জানালেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জনতা দল ইউনাইটেডের সভাপতি নীতীশ কুমার। রবিবার নয়াদিল্লিতে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক থেকে এই বার্তা দিলেন তিনি।
এদিন জেডিইউ-এর জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে ২০১৯ লোকসভা ও ২০২০ বিধানসভা ভোট নিয়ে আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত হয়, বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধেই তাঁরা লোকসভা ও বিধানসভায় লড়াই করবে। লোকসভায় ৪০ আসনবিশিষ্ট বিহারে অন্তত ১৭টি আসন ছাড়তে হবে তাদের। নীতীশ কুমারের বার্তা, বিজেপি ও জেডিইউ যদি ১৭টি করে আসনে করে লড়ে। বাকি ৬টি আসন ভাগ করে দেওয়া যেতে পারে এলজেপি, আরএলএসপিকে।
এখানে উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ২২টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। সেখানে মাত্র দু'টি আসন জুটেছিল নীতীশের দলের। তবে বিজেপি বিরোধী মহাজোট করে বিধানসভা নির্বাচনে বাজিমাত করে নীতীশ। নীতীশের জেডিইউ পায় ৭১টি আসন। আর বিজেপি পায় ৫৩টি। এখন এই বিধানসভার নিরিখেই নীতীশের দাবি, ২০১৯-এ অন্তত ১৭টি আসন তাঁদের ছাড়তে হবে।
জেডিইউ ২০১৯-এ বিজেপির সঙ্গে লড়ার সিদ্ধান্ত নিলেও, আসন বণ্টন নিয়ে যে দু-পক্ষের বিবাদ চরমে উঠবে, তা নিয়ে একপ্রকার নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। কেননা বিজেপি তাঁদের জেতা ২২টি আসন ছাড়বে বলে মনে হয় না। তারপর বিজেপি যদি জেডিইউকে ১৭টি আসন ছেড়ে দেয় হাতে থাকবে মাত্র ১টি আসন। তাহলে এলজেপি, আরএলএসপি-র মতো দলগুলিকে কটি আসন ছাড়বে তারা? তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। রাজনৈতিক মহল মনে করছে জোটধর্ম পালন করতে গিয়ে বিজেপির কালঘাম ছুটবে বিহারে।