বিহারে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত সীমাঞ্চলে জোরদার গেরুয়া হাওয়া! বিজেপি কোন গেমপ্ল্যানে পাশা পাল্টে দিল
বিহারে সংখ্য়ালঘু অধ্যুষিত সীমাঞ্চলে জোরদার গেরুয়া হাওয়া! বিজেপি কোন গেমপ্ল্যানে পাশা পাল্টে দিল
বিহার বিধানসভা নির্বাচনে লালুপ্রসাদের তুরুপের তাস মূলত ছিল যাদব- মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক। মনে করা হচ্ছিল অযোধ্যার রাম মন্দির থেকে শুরু করে, সিএএ, এনআরসি সহ একাধিক ইস্যু আরজেডির নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিজের পক্ষে নিয়ে বিজেপিকে তোপ দেগে বাজিমাত করে দেবে। আর সেই মর্মে চলেছিল প্রচারের গতিও। কিন্তু বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের ট্রেন্ড প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপির উজ্জ্বল উপস্থিতি ল্ক্ষ্য করা যায়।
সীমাঞ্চলের যাদব-মুসলিম ভোট
বিহারের সীমাঞ্চলের ভোট পর্ব সংগঠিত হয়েছে তৃতীয় দফায়। আর লালুর এই পোক্ত দূর্গে বিজেপির হিন্দুত্বের ঘরানাকে সঙ্গে নিয়ে জেডিইউ কতটা সাফল্য পাবে, তা নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধতে থাকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। কারণ চিরকালই মুসলিমদের একাংশের বিজেপি বিরোধী ভোট এবং যাদব ভোট লালুকে বহু সুযোগ করে দিয়েছে বিহারে। তবে এবার খেলা খানিকটা পাল্টে যায়!
হিন্দুত্ব এবং সীমাঞ্চল ভোটব্যাঙ্ক
মূলত, সীমাঞ্চলের মধ্যে পড়ে,আরারিয়া, কিষাণগঞ্জ, কাটিহার, পুর্নিয়া। এই এলাকায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতাদের এনে ভোট প্রচার চালায় বিজেপি। কিষাণগঞ্জের সভায় এনআরসি নিয়ে পারদ চড়ান যোগী। এরপর পরিস্থিতি হাতে রাখতে নীতীশ কার্যত আদিত্যনাথকে তোপ দেগেই জানিয়ে দেন, এই সব 'ফালতু কথা' , দেশ থেকে কেউ কোথাও যাচ্ছেন না। ঐক্যই তাঁর সরকারের নীতি।
সীমাঞ্চলের সমীকরণ, ও পরিসংখ্যান
সীমাঞ্চলে ৪৭ শতাংশ মুসলিম ভোট রয়েছে। যা বিহারের রাজ্য়ের নিরিখে ১৭ শতাংশ। এলাকার কিষাণগঞ্জেই শুধুমাত্র ৭০ শতাংশ মুসলিম রয়েছেন। আরারিয়াতে ৪২ শতাংশ, কাটিহারে ৪৩ শতাংশ মুসলিম বসতি, পুর্নিয়াতে ৩৮ শতাংশ বসতি। আর এমন প্রেক্ষাপটে মহাজোট এই এলাকায় যাদবদের ভোট জুড়ে বিজেপি বিরোধী ভোট ঘরে তুলবে টিক করেছিল। তবে সেগুড়ে বালি ঢেলেছে গেরুয়া দল।
এআইএমএম ফ্য়াক্টর!
আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল এআইএমএম এই এলাকায় ২০২০ সালে বিহারের ভোটে তাদারে দলীয় ১৯ প্রার্থীকে ভোটে লড়াইয়ের জন্য দাঁড় করায়। মনে করা হচ্ছে, মহাজোটের মুসলিম ভোট এই এআইএমএম কেটে নিয়েছে। যার লাভ হয় বিজেপির। ফলে সহজে সীমাঞ্চলের আরারিয়া, পুর্নিয়া তারা দখলে রাখতে পারে।
অযোধ্যা ইস্যু থেকে এনআরসি ও সীমাঞ্চলের পরিসংখ্যান
২০১৫ সালে মহাজোটকে সীমাঞ্চল বেছে নেয়। তবে ২০২০ সালের ভোট গণনার প্রাথমিক ট্রেন্ড হাতে আসতেই দেখা যায় ,৪ জেলার একাধিক আসনে বিজেপি-জেডিইউ জোট এগিয়ে। প্রসঙ্গত, অযোধ্যা নিয়ে বিজেপির রাজনীতি এই এলাকা. গেরুয়া দলে বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছিল। তবে শেষে কী হয়, সেদিকে নজর সকলের। কারণ এখনও প্রায় কয়েকট কোটি ভোট গণনা বাকি এই এলাকার।
দেশজুড়ে শোচনীয় ফলের মাঝেই ছত্তিশগড় উপনির্বাচনে হাত তুলে দাঁড়াল কংগ্রেস