বিহার নির্বাচন দ্বিতীয় দফা: ব্রাহ্মণ, মুসলিম-যাদব ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে এনডিএ,বিরোধীদের পরিসংখ্যান একনজরে
বিহার নির্বাচন ২য় দফা: ব্রাহ্মণ, মুসলিম-যাদব ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে এনডিএ,বিরোধীদের পরিসংখ্য়ান কেমন! 'ট্রিকি সিট' একনজরে
আসন্ন বিহার বিধানসভা ভোটের দ্বিতীয় দফা ঘিরে ক্রমেই পারদ চড়তে শুরু করেছে। আগামী ৩ নভেম্বর বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট পর্ব। ৯৪ টি আসন, ১৪৬৪ জন প্রার্থীর ভোট ভাগ্য সেদিন নির্ভর করবে জনমতে। এমন এক প্রেক্ষাপট নিয়ে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার আসনগুলির কিছু ভোট ফ্যাক্টরের ইতিহাস ও তথ্য দেখে নেওয়া যাক।
বিহারে দ্বিতীয় দফার ভোটে জাতপাতের রাজনীতি কতটা প্রভাব ফেলবে ব্যালটে!
বিহারের দ্বিতীয় দফার ভোটে, সেন্ট্রাল বিহার, মিথিলাঞ্চল, সারান, মুঙ্গের, তিরহুত ইত্যাদি এলাকায় জাতপাতের রাজনীতি বড় ভূমিকা পালন করতে চলেছে। মূবত সেন্ট্রাল বিহার এনডিএর জোরালো ঘাঁটি, যেখাবে উচ্চশ্রেণি ও আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের ভোটব্যাঙ্ক এনডিএর সঙ্গে রয়েছে। মিথিলাঞ্চল, তিরহুত, ব্রাহ্মণ ভোটব্যাঙ্কের এলাকা, সারান রাজপুত ভোটে প্রতিবার খেলা ঘুরিয়ে দেয়। এছাড়া বৈশালী, মুঙ্গেরল,খাগাড়িয়া দারভাঙ্গা নিশাদ ভোটব্যাঙ্কে চলে। এলাকায় চেনা ছকে বিভিন্ন জাতির ভোটব্যাঙ্ক দেখে সেই জাতির প্রার্থীকে দাঁড় করিয়েছে এনডিএ। ১১ জন এমন প্রার্থী এই সমস্ত এলাকায় জাতিগোষ্ঠীর বিচারে রেখেছে এনডিএ শরিক বিকাশশীল পার্টি। ভিঅইপিকে মূলত নিশাদ ভোট জড়ো করার দায়িত্বে রাখা হয়েছে।
বিহারে ২০১৫ সালের ফলাফলের সমীকরণ এবং মুসলিম-যাদব ভোট ব্যাঙ্ক
এদিকে, মুসলিম ও যাদবদের ভোট বারবারই বিহারে লালুর সমর্থনে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে মহাজোট এই দুটি ভোট ব্যাঙ্কে ভরসা রাখছে। যে সমস্ত এলাকায় বিহারে দ্বিতীয় দফার ভোট হবে সেখানে ২০১৫ সালে বিরোধী জোট এই এলাকায় ৯৪ টির মধ্যে ৭০ টি আসনে কংগ্রেস, জেডিইউ, আরজেডি জিতেছিল। তবে এবার জেডিইউ ছাড়া এই এলাকার ভোট রাজনীতি আরজেডি ঘুরিয়ে দিতে পারে কেবল মুসলিম ও যাদব ভোটের খেলায়।
দ্বিতীয় দফার ভোটে নজর কাড়বে কোন কোন এলাকা?
বিহারে দ্বিতীয় দফার ভোটে ৯৪ টির মধ্যে ১১ টি আসনের দিকে নজর থাকবে সকলের। এরমধ্যে পাটনা সাহিব, নালন্দা, সিওয়ান কুচাইকোটা, বারুরাজ, বারাউলি, ঝাঁঝরপুর, শেওহার,চানপাতিয়া,বেতিয়া, বিহারশরিফ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা।
২০১৫ সালে ভোটে মার্জিন ও বিহারের দ্বিতীয় দফার ভোট
এই তাবড় ১১ টি এলাকায় বিহারে ২০১৫ সালে ভোট মার্জিন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছিল ১০০০ বা তার কম। ফলে হাড্ডাহাড্ডি লটড়াই দেখা যাবে এলাকায় বলে আশা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এলকায় ২০১৫ল সালে সবচেয়ে কাঁটায় কাঁটায় যুদ্ধ হয়েছিল গ্যাংস্টার থেকে নেতা হওয়া আনন্দ মোহনের সঙ্গে জেডিইউএর শারফুদ্দিনের। ভোট ব্যবধান ছিল ৪৬১।
বিহার ট্রিকি সিট!
বিহারে দ্বিতীয় দফার ভোটে এমন কিছু এলাকা রয়েছে, যারা যে কারোর ভোট ভাগ্য ঘুরিয়ে দিতে পারে। ২০১৫ সালে এই ৯৪ আসনের ১১ টির মধ্যে ৪টতে বিজেপি ও জেডিইউ মুখোমুখি হয় ভোটে। তখন তারা জোট ছিল না। এই লড়াইতে বিজেপি ছিনিয়ে নেয় ৩টি। ১১টির মধ্যে মোট ৭ টিতে এনডিএর বিরোধী মহাজোট জিতে যায়। দ্বিতীয় দফার ভোটে, ছাপরা, নালন্দা, সিওয়ান, বিহারশরিফের দিকে নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। পাশাপাশি মহাজোটের জমি ধরে রাখার চেষ্টা থাকবে, অন্যদিকে, জেডিইউ-বিজেপিকে পরস্পর বিরোধী ভোট ঘরে তুলতে হবে। চ্যালেঞ্জ থেকেই যাবে।
বিহারে গদি দখলের লড়াইয়ে কোন কোন আসন নীতীশ-তেজস্বী যুদ্ধে ভোট ভাগ্য নির্ধারণ করবে! একনজরে তথ্য