বিহার নির্বাচনে এলজেপির একার লড়াই কি আসলে বিজেপির বড় চাল! গেরুয়া শিবিরের 'প্ল্যান বি' কী
নীতীশ কুমারকে বিহারের গদিতে দেখতে তারা রাজি নয়। আর সেকারণেই বিজেপি-জেডিইউর এনডিএ থেকে সরে গিয়ে বিহার ভোটে একক পারফরম্যান্সের জন্য কোমর কষছে পাসওয়ান শিবিরের এলজেপি। এমন এক পরিস্থিতিতে এলজেপির জোট থেকে সরে যাওয়াকে অনেকেই বিজেপির 'প্ল্যান বি' বলে মনে করছে।
দিল্লির বৈঠক ও অমিত শাহ
বিহার নির্বাচন নিয়ে দিল্লির বৈঠকে রীতিমতো চিরাগ পাসওয়ানের সঙ্গে আলোচনায় কয়েকদিন আগেই বসেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় প্রধান জেপি নাড্ডা ও বিজেপির থিঙ্কট্য়াঙ্কের অন্যতম নাম অমিত শাহ। অমিত শাহ সেদিন বিহারে জোটের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এমন এক পরিস্থিতিতে এলজেপির আচমকা এনডিএর হাত ছেড়ে চলে যাওয়াটা বিজেপির প্ল্যান বি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এলজেপির এই সিদ্ধান্তের আগে বিজেপির সঙ্গে তাদের দিল্লিতে বিশেষ বৈঠক হয়েছে।
এলজেপির ছক
চিরাগ
পাসওয়ান
আগেই
জানিয়েছিলেন
যে
,
তাংর
দলের
নেতারা
১
বিহারে
২৪৩
টির
মধ্যে
১৪৩
টি
আসনে
লড়তে
চাইছে।
নীতীশ
কুমারকে
তাঁরা
মুখ্যমন্ত্রী
হিসাবে
দেখতে
চাইছেননা।
এক্ষেত্রে
এলজেপি
বিজেপির
বিরুদ্ধে
প্রার্থী
না
দিয়ে
নীতীশের
জেডিইউয়ের
বিরুদ্ধে
প্রার্থী
দিয়ে
ভোট
যুদ্ধে
নামতে
চাইছে।
বিজেপির প্ল্যান বি কী হতে পারে!
উল্লেখ্য, বিজেপির প্ল্যান বি নিয়ে রাজনৈতিক পণ্ডিতদের কিছু বিশ্লেষণ রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, বিজেপির জোট থেকে এলজেপি সরে গিয়ে নীতীশের জেডিইউকে চাপে রাখলে, আখেরে ফল ভোগ করতে পারে বিজেপি। মাহারাষ্ট্রের গত বিধানসভা নির্বাচনের ট্রেন্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে বিজেপি এলজেপিকে হাতে রাখতে চাইছে। যদি ৫০:৫০ আসন ভাগের পর ফলাফল বের হতেই জেডিইউ ,শিবসেনার মতো রূপ ধারণ করে পদ্ম শিবিরের হাত ছেড়ে দেয়, তাহলে বিজেপির তখত দখল অধরা থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে বিজেপিকে বাঁচাতে পারে পাসওয়ানদের এলজেপি । ফলে দুই দিকেই রাস্তা খোলা রেখে অমিত শাহের দল চূড়ান্ত ক্ষুরধার রাজনৈতি ক চাল বিহারে দিয়ে রেখেছে বলে মনে করা হচ্ছে। মহারাষ্ট্রের তরুণ তুর্কী তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ এবার বিহার ভোটে বিজেপির দায়িত্বে। ফলে ঘুঁটি চিনে তারপর চাল দিচ্ছে পদ্ম শিবির।
এলজেপির টার্গেট জেডিইউ , বিজেপি নয়!
এলজেপি বিহার নির্বাচনে প্রথম থেকেই জানিয়ে দিয়েছে যে তাদের টার্গেট নীতীশ বিরোধিতা। ফলে বিজেপি জোটের মধ্যে থেকে তারা জেডিইউ-এর প্রার্থীদের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে রাজি। ফলে বিজেপির সঙ্গে গাঁট ছড়ার রাস্তা থেকে তারা সরছে না। যার ফল নির্বাচনে পেতে পারে বিজেপি।
ভোট কাটাকাটি..তখত দখলে বিজেপির রাজকীয় চাল
বিজেপির বিহারের তখত দখলে রাজকীয় চাল হিসাবে এলজেপি ঘুঁটি কার্যকরী হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এতে নীতীশ বিরোধী ভোট চিরাগ পাসওয়ানের এলেজেপির দখলে থাকতে পারে। অন্যদিকে, বিরোধী ভোট ব্য়াঙ্কের ভোট কাটাকাটির খেলায় এলজেপি ঘরে তুলতে পারে বহু সংখ্যক ভোট। ফলে বিজেপি , এলজেপির হাত ধরে মাত দিতে পারবে বিরোধীদেরও।
২০০৫ সালে চেনা স্ট্র্যাটেজি
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে এলজেপি চেনা স্ট্র্যাটেজিতে খেলেছে। সেই সময় লালু প্রসাদের আরজেডি ও কংগ্রেসের জোটকে জোর ধাক্কা দিয়ে ভোট কেটে বেরিয়ে যায় এলজেপি। ফলে বিহার ত্রিশঙ্কু অবস্থায় থেকে যায়। ফলে ২০২০ সালে তেমনই কোনও ম্যাজিক এলজেপিকে দিয়ে ঘটাবার আশায় রয়েছে বিজেপি।