বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে নীতীশের জেডিইউয়ের আসন সমঝোতা সম্পন্ন! কোন ভোট-গণিত প্রকাশ্যে
বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে নীতীশের জেডিইউয়ের আসন সমঝোতা সম্পন্ন! কোন ভোট-গণিত প্রকাশ্যে
শেষমেশ জোট সমঝোতা সম্পন্ন হল। বিহারে আসন্ন হাইভোল্টেজ নির্বাচনে জেডিইউ ও বিজেপির মধ্যে আসন সমঝোতার রাস্তা কোন অঙ্কের দিকে যায়, তা নিয়ে বেশ তোলপাড় ছিল জাতীয় রাজনীতি। আর এদিন সূত্রের দাবি বলছে, বিহারে সেই আসন সমঝোতার রাস্তা এবার সম্পন্ন করে ভোটের ময়দানে রণদুন্দুভি নিয়ে নামতে চলেছে বিজেপি, জেডিইউ।
বিহারে কত আসনে লড়বে জেডিইউ ও বিজেপি?
উল্লেখ্য, বিহারে ৫০ -৫০ আসন বণ্টনে সহমত পোষণ করেছে জেডিইউ ও বিজেপি। ফলে আরও একবার এলজেপি এই অঙ্কের বাইরে চলে গেল বলে খবর। এর আগে দিল্লিতে এলজেপির তরফে রামবিলাস পুত্র চিরাগের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জেপি নাড্ডা ও অমিত শাহ। সেখানে জোট ধরে রাখার বার্তা স্থির হলেও বর্তমা ন বিহার সমীকরণ নিয়ে বহু জল্পনা শুরু হয়েছে।
আসন বণ্টন একনজরে
বিহারে ২৪৩ টি আসনের মধ্যে নীতীশ কুমারের পার্টি জেডিইউ লড়বে ১২২ টি আসনে, বিজেপি ১২১ টি আসনে লড়ছে। মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে নীতীশ কুমারই থাকছেন। তবে সমান সংখ্যক আসন বণ্টন এই নির্বাচনে এনডিএ জোটের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক হতে পারে।
বিহার, বিজেপি ও এলজেপি
উল্লেখ্য়, পাসওয়ান শিবিরের এলজেপি বিজেপির সঙ্গে বিহারের আসন নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই দরকষাকষি করেছে। এলজেপি চেয়েছিল ৪২ টি আসন। বিজেপি তাঁদের ১৫ টি দিতে সমর্থ হয়। এর পাশাপাশি চিরাগ জানান, তাঁর দল একাই ১৪৮ টি আসনে বিহারে লড়তেই সচেষ্ট হতে পারে যদি বিজেপির সঙ্গে রফাসূত্র না বের হয়। তখনই দিল্লির বৈঠকে অমিত শাহ জোট ধরে রাখার বার্তা দেন। চিনারগ জানান, যেখানে বিজেপি দুর্বল সেই জায়গাতেই তাঁর পার্টি প্রার্থী দিতে সমর্থ। তবে সেই বিষয়টি নিয়ে কোনও বার্তা এখনও এনডিএ সূত্র স্পষ্ট করেনি।
দেবেন্দ্র ফড়নবীশ , বিহার ও ভোট
উল্লেখ্য়, জোট রাজনীতি কতবড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে বিজেপির ক্ষেত্রে তা হাড়ে মজ্জায় টের পেয়েছে দল মহারাষ্ট্র নির্বাচনে। শিবসেনার জোট থেকে বেরিয়ে গিয়ে সরকার গড়ার ঘটনা বিজেপির মারাঠা নেতৃত্বকে বড় ধাক্কা দিয়েছিল। সেই মারাঠা শিবিরের তরুণ তুর্কী নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ এখন বিহারে বিজেপির দায়িত্বে। ফলে জোট অঙ্ক মজবুতই যে বিহার নির্বাচনে পাখির চোখ হবে, তা আগে থেকেই ভবিষদ্বাণী করেন বিশেষজ্ঞরা।
দিলীপ ফের শিরোনামে উঠে এলেন 'কু-কথা’য়, মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি পুলিশকেও নিশানা