বিহার বিধানসভা ভোটে এলজেপি-ঘুঁটি নিয়ে দাবার আরও এক চাল বিজেপির! মোদী ইস্যুতে পদ্মশিবির কোমর কষছে
বিহারে রামবিলাস পাসওয়ান শিবিরের মূল অপছন্দ নীতীশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখা। সেই কারণেই পাসওয়ান নেতৃত্বস, বিজেপি জোটের এনডিএর থেকে আলাদা হয়ে বিহারে একক দক্ষতায় লড়বে বলে জানিয়েছে। তবে বিজেপির সঙ্গে তাদের শতরুতা নেই বলে জানায় রামবিলাস পাসওয়ানের দল। অমন অবস্থায় বিজেপি কোন কোন চাপে এলজেপি ঘুঁটিকে বিহার নির্বাচনে কাজে লাগাচ্ছে দেখা যাক।
বিজেপি কী জানিয়েছে মোদীর ছবি নিয়ে?
বিহার নির্বাচনে এনডিএর থেকে আলাদা হয়ে ভোট যুদ্ধে নামছে বলে জানিয়েছে। বিজেপি র বিরুদ্ধে প্রার্থী না দিয়ে, তারা নীতীশের জেডিইউএর বিরুদ্ধে প্রার্থী দিচ্ছে বলে খবর। এদিকে, এমন পরিস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদীর ছবি যাতে এলজেপি ব্যবহার না করে তা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়ে দিয়েছে বিজেপি। বিজেপি জানিয়েছেন, এনডিএতে বিজেপি যেহেতু নীতীশ কুমারের সঙ্গে রয়েছে, তাই মোদীর ছবি জোটের বাইরে কেউ ব্যবহার করতে পারবে নায। এক্ষেত্রে তারা নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবে বলে খবর।
মোদীকে প্রচারের মুখ করা নিয়ে বক্তব্য
বিজেপি এলজেপিকে সাফ জানিয়েছে, পাসওয়ানদের দলের প্রচারে যেন মোদীর কোনও বক্তব্যও ব্যবহার করা না হয়। বিজেপির এই বক্তব্য় কার্যত বিহার নির্বাচনে বিজেপির আরও বড় দাবার চাল বলে মনে করা হচ্ছে।
মোদীর ছবি নিয়ে সিদ্ধান্ত
উল্লেখ্য, এলজেপিকে মূলত দুটি কাজে ব্যবহার করতে চাইছে বিজেপি। একদিকে, বিরোধী ভোট কাটানো , অন্যদিকে, ভোটের ফলাফলের পর শিবসেনার মতো নীতীশের জেডিইউ ঘুরে বসলে তাকে মোক্ষম জবাব দেওয়ার জন্য এলজেপির ভোট ব্যাঙ্ককে ব্যবহার করে 'প্ল্যান বি ' তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। এদিকে, মোদীর ছবি এলজেপি প্রচারে ব্যবহার করলে যদি বিরোধী ক্যাম্পের ভোট ভাগ না হয়, সেই আশঙ্কায় বিজেপি আগে থেকেই মোদীর ছবি নিয়ে সতর্ক পদক্ষেপ ধরে রেখেছে। অন্যদিকে, মোদির সমর্থকদের ভোট শুঘধু বিজেপির জোট ঘরে যাতে তুলে নিতে পারে, তা নিশ্চিত করেছে দল।
জেডিইউ-বিজেপি সমঝোতা
এদিকে, বিহারে বহু জায়গার প্রচারে এবজেরি মোদীর ছবি ব্যবহার করতে শুরু করেছিল। যা দেখেই বিষয়টি জেডিইউ তুলে ধরে বিজেপি হাইকমান্ডের সামনে। তারপর বিজেপি পদক্ষেপ নেয়। এনজেপিকে সাফ জানিয়ে দেয় যে পদ্মশিবির কেবলমাত্র নীতীশ কুমারের মুখ্যমন্ত্রিত্বের আওতাতেই রাখতে চায় নিজেকে।