এবার ‘১৫ বনাম ১৫’-র টক্কর! ১০ বছর পর ফের সেই লালু-নীতীশের লড়াই দেখবে বিহার
এবার ‘১৫ বনাম ১৫’! ১০ বছর পর ফের সেই লালু-নীতীশের লড়াই দেখবে বিহার
'১৫ বনাম ১৫'-র টক্কর। অর্থাৎ লালু-রাবড়ির ১৫ বছর বনাম নীতীশ কুমারের ১৫ বছর। বিহার নির্বাচনের আগে এটাই স্লোগান বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের, বিহারে যে জোটের সবথেকে বড় শরিক নীতীশ কুমার। নীতীশ কুমার তথা জেডিই এবং তাঁদের জোটসঙ্গী বিজেপি চাইছে লালুপ্রসাদের আমলের সঙ্গে নীতীশের তুলনা করে ফায়দা লুটতে।
লালুপ্রসাদের ১৫ বছরকেই টার্গেট
১৯৯০ সাল থেকে ২০০৫ বিহারে লালুপ্রসাদ যাদবের রাজত্ব ছিল। শেষ টার্মে লালু-জায়া রাবড়ি দেবী হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই ১৫ বছর সময়কে জঙ্গলের রাজস্ব বলে আখ্যায়িত করা হয়। বিজেপি ২০২০-র নির্বাচন জিততে লালুপ্রসাদের ১৫ বছরকেই টার্গেট করেছে। তারা লালু বনাম নীতীশ যুদ্ধ লাগিয়ে জয় নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
দুই ১৫ বছরের ব্যাখ্যা বিহারে
বিহারের লালুপ্রসাদের ১৫ বছরকে যেমন অনুন্নয়ন, হিংসা আর দুর্নীতির বলে ধরা হয়, তেমন নীতীশের ১৫ বছরকে ব্যাখ্যা করা হয়, আশা, সমতা, সম্মান ও উন্নয়নের বলে। তাই পুরনো কাসন্দি ঘেঁটেই বিহার-জয়ের কৌশল নিয়েছে বিজেপি। গতবার তাঁরা এককভাবে লড়েছিল, এবার নীতীশের সঙ্গে জোটের ১০০ শতাংশ সুবিধা নিতে চায় বিজেপি।
সব ভুলে পরিবর্তনের ডাক তেজস্বীর
এই পরিস্থিতিতে লালু-তনয় বর্তমানে আরজেডি সুপ্রিমো তেজস্বী যাদব কৌশলী অবস্থান নিয়েছেন। তিনি ডাক দিয়েছেন ভুলে যান লালু-রাবড়ির সময়ের ঘটনা। তখন কী ঘটেছিল তা ভুলে গিয়ে পরিবর্তন আনুন। পরিবর্তনই পারে বিহারকে উচ্চাসনে তুলে ধরতে। এভাবেই তিনি নতুনদের আহ্বান জানালেন।
নীতীশ বনাম তেজত্ব সম্মুখ সমরে
নীতীশ কুমাররা পুরনো জমানার কথা তুলে ধরে কৃষি বিল, মদ বন্ধ, করোনা মোকাবিলায় সাফল্য, পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানো ও বর্তমান আইনশৃঙ্খলাকে হাতিয়ার করছেন। আর পক্ষান্তরে তেজস্বী যাদব আমূল বদলের প্রতিশ্রুতি ও জনতার আশা পূরণের বার্তায় বর্তমান সরকারে কর্মসংস্থানের ব্যর্থতা তুলে ধরছেন। সেইসঙ্গে কৃষি বিলের বিরোধিতা ও আইনশৃঙ্খলাকেও ইস্যু করছেন।
উন্নয়নের প্রশ্নেই ভোট চাইবেন নীতীশ
নীতীশ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, উন্নয়নের প্রশ্নেই ভোট চাইব। ১৫ বছর বনাম ১৫ বছরের লড়াই হবে এবার। সেদিনের জঙ্গলরাজের সঙ্গে আজকের উন্নয়ন। জঙ্গলরাজকে হারিয়ে জিতবে উন্নয়নই। নাম না করেই জানিয়েছেন, লালুপ্রসাদের আমালে সামাজিক ক্ষমতায়নের মাইলফলক ছোঁয়া ছাড়া কোনও কিছুই হয়নি। দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী।
‘বিহারের বোঝা’ নীতীশ কুমারের জবাব
উল্লেখ্য, গতবার অর্থার ২০১৫ সালে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছিল নীতীশ আর লালু। এবার একেবারে সম্মুখ সমরে। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। আর এদিকে বাকযুদ্ধ লেগেই রয়েছে। জেল থেকে লালু টুইট করে বলেন, নীতীশ কুমার বিহারের বোঝা হয়ে গিয়েছেন। প্রত্যুত্তরে নীতীশ বলেন, ঠিকই বলেছেন, যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের ঘাড়েই মানুষ বোঝা চাপান। আর যারা কাজ করেন না, তাঁরা ভিতরে (জেলে) থাকেন।
১০ বছর পর ফিরল নীতীশ-লালুর লড়াই
মোট কথা এবারও বিহারের লড়াই হতে চলেছে লালুপ্রপসাদ বনাম নীতীশ কুমারের। ২০১৫-য় শুধু এই লড়াই বন্ধ ছিল উভয়ে একজোট হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করায়। আবার নীতীশ কুমার এনডিএ-তে ফিরে যাওয়ায়, পুরনো লড়াই ফিরে এসেছে। আগামী ২৮ অক্টোবর, ৩ ও ৭ নভেম্বর বিহারবাসী জানিয়ে দেবেন, তাঁরা কার পক্ষে।
রাজ্যসভার ছবি-ভিডিও 'ব্রহ্মাস্ত্র’ মমতার! বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি বললেন তথাগত