সেনা-পুলিশ যৌথ উদ্যোগেই বড়সড় সাফল্য! ২০২০ সালে জম্মু-কাশ্মীরে অনেকটাই কমল জঙ্গি ক্রিয়াকলাপ
কখনও জঙ্গি অনুপ্রবেশ তো কখনও বড়সড় সন্ত্রাসবাদী হামলা, চলতি বছরেই বারংবার খবরের শিরোনামে এসেছে জম্ম-কাশ্মীর। এদিকে গত বছরেই ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর বিশেষ রাজ্যের ক্ষমতা হারিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়ে গোটা উপত্যকাই। আর তার হাত ধরেই চলতি সফরে জঙ্গি নিধনে বিগত কয়েক বছরের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে ভারতীয় সেনা।

বছরভর ২০৩ জন জঙ্গিকে নিকেশ করল সেনা
বর্তমানে সরকারি ভাবে প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালে বছরভর গোটা জম্মু-কাশ্মীরে ২০৩ জন জঙ্গিকে নিকেশ করেছে সেনা। এর মধ্যে ১৬৬ জন স্থানীয় জঙ্গি বলে জানা যাচ্ছে। বাকি ৩৭ জন পাকিস্তানের বাসিন্দা বলে খবর। অন্যদিকে সেনা জঙ্গি সংঘর্ষে গত এক বছরে উপত্যকায় ৪৩ জন সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। আহত হয়েছে ৯২ জন।

সেনা-পুলিশ যৌথ উদ্যোগেই বড়সড় সাফল্য
পাশাপাশি ২০২০ সালেই আরও ৪৯ জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়েছে সেনা, এমনকী আত্মসমর্পনে বাধ্য হয়েছে ৯ জঙ্গি। যদিও সেনা, পুলিশ ও সিআরপিএফ-র যৌথ উদ্যেগেই বড়সড় সাফল্য এসেছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অন্যদিকে নিহত ও জীবিত অবস্থায় সেনার হাতে আসা জঙ্গিদের সিংহভাগই একাধিক পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য বলে জানা যাচ্ছে।

কমেছে সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর সংখ্যা ও
অন্যদিকে ২০২০ সালে জম্ম-কাশ্মীরে মোট ৯৬ টি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানাচ্ছে কেন্দ্র। যদিও ২০১৯ সালের তুলনায় এবারে সাধারণ নাগরিক মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই কমেছে বলে জানা যাচ্ছে। এবারে যেখানে একাধিক সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৩ জন আম-আদমি, ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪৭। পাশাপাশি আক্রান্তের সংখ্যা ১৮৫ থেকে কমে হয়েছে ৯২।

৩৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে জঙ্গি হানার ঘটনা
অন্যদিকে কেন্দ্রের র রিপোর্ট বলছে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে গোটা উপত্যকা জুড়েই জঙ্গি হানার ঘটনা প্রায় ৩৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। গোটা উপত্যকা জুড়েই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাপট বাড়ায় জঙ্গি দলগুলির সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিও আগের থেকে হ্রাস পেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কমছে জঙ্গি দলে নাম লেখানোর হার, তবে জঙ্গি অনুপ্রবেশের হার আজও উর্ধ্বমুখী রয়েছে গোটা উপত্যকাজুড়েই।

কমেছে আইইডি, গ্রেনেড হামলার ঘটনাও
অন্যদিকে গত বছরের ৬টি আইইডি বিস্ফোরণের সংখ্যাও চলতি বছরে কমে দাঁড়ায় ১-এ। পাশাপাশি গোটা উপত্যকা জুড়ে এবছর ১৪ টি আইইডি উদ্ধার করেছে সেনা। ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩৬। অন্যিদকে গত বছর গোটা উপত্যকাজুড়ে ৫১টি গ্রেনেড হামলার ঘটনা দেখা গেলেও এবছর তা কমে দাঁড়ায় ২১।
