'গ্রেট হিমালয়ান ভূমিকম্প' আসতে দেরি হলে আরও বিপদ, সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞদের!
নয়াদিল্লি, ৬ জানুয়ারি : নেপাল, মণিপুরের চেয়েও ভয়াবহ ভূমিকম্পের মুখোমুখি হতে হবে শীঘ্রই। জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিপর্যয় মোকাবিলা দলের বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের কথায়, হিমালয় অঞ্চলে আরও ভয়াবহ ও শক্তিশালী ভূমিকম্প কেন্দ্রীভূত হচ্ছে, রিখটার স্কেলে যার কম্পনের তীব্রতা ছা়ড়াতে পারে ৮.২।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, সোমবার মণিপুরে যে শক্তিশালী ভূমিকম্পের সাক্ষী ছিল মানুষ, তার চেয়েও তীব্রতর ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবে হিমালয় উপত্যকা। এর কারণ সাম্প্রতিক মণিপুর (৬.৭) জানুয়ারি-২০১৬, নেপাল (৭.৩) মে-২০১৫, এবং ২০১১ সালে সিকিম (৬.৯) ভূমিকম্পের জেরে হিমালয় অঋ্চলের টেকটোনিক প্লেট নির্দিষ্ট জায়গা থেকে সামান্য সরে গিয়েছে, এবং এই এলাকায় বেশ কিছু গভীর ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে আগামী দিনে ৮ কম্পাঙ্ক বা তার বেশি কম্পাঙ্কের ভূমিকম্প এই অংশকে বড়সড় ক্ষতির মুখে ফেলবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে নেপাল, ভুটান, মায়ানমার এবং ভারতের প্লেটগুলি একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। আর এই বেল্টেই বিপদ সবচেয়ে বেশি। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, পাহাড়ি এলাকা এবং বিহারের কিছু অংশ, উত্তরপ্রদেশ, এমনকী দিল্লিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে এই ভূমিকম্পে।
বিদেশী বিশেষজ্ঞরাও এই ভূমিকম্প নিয়ে অনেকটা একমত। আরও একধাপ এগিয়ে তাঁদের অনুমান, এখন যা পরিস্থিতি তাতে ৮ বা তার বেশী কম্পাঙ্কের কমপক্ষে ৪টি ভূমিকম্প হতে পারে। আর এই ভূমিকম্প আসতে যদি বিলম্ব হয় তাহলে ভূকম্পণের কর্ষণ আরও ঘণীভূত হবে এবং তা আরও শক্তিশালী হবে।
ভারত চারটি ভূকম্পীয় এলাকায় বিভক্ত। এর মধ্যে সবচেয়ে সক্রিয় এলাকার মধ্যে রয়েছে গোটা উত্তর-পূর্ব ভারত, উত্তর বিহারের কিছু অংশ, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মির, গুজরাত এবং আন্দামান ও নিকোবার দীপপুঞ্জ। দিল্লিও বিপজ্জনক এলাকার মধ্যে অবস্থান করছে।
এই সংক্রান্ত আরও খবর পড়ুন এখানে
চ্যুতি রেখার ঠিক উপরেই অবস্থান, ভবিষ্যতে ভয়াবহ ভূকম্পনের কবলে পড়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হতে পারে কলকাতা
নয়া 'কাউন্ট ডাউন' শুরু, পৃথিবীর ধ্বংস ২৮ সেপ্টেম্বর?
'গ্রেট হিমালয়ান ভূমিকম্প' আসা এখনও বাকি, বলছেন বিজ্ঞানীরা