শিশুকে যা-তা চকোলেট খাওয়ানোর আগে সাবধান, কলকাতাকে সতর্ক করল মাদক বিভাগ
লজেন্সে মাদকের বিষ। স্ট্রবেরি কুইক নামে এই লজেন্স ছড়িয়েছে মুম্বই এবং বেঙ্গালুরুসহ নানা জায়গায়। ইতিমধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। এবার ওই মাদকচক্রের খোঁজেই নার্কোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো। সতর্কতা এরাজ্যেও।

মুম্বই, বেঙ্গালুরুতে একাধিক স্কুলের আশপাশে বিক্রি হচ্ছে স্ট্রবেরি কুইক। তাতে আফিমের মতো নেশার বস্তু রয়েছে বলেই অভিযোগ। স্ট্রবেরি কুইকে রয়েছে স্ট্রবেরির মতোই গন্ধ ও স্বাদ। তবে ভিতরে রয়েছে মাদক। যা খেয়ে ঝিমিয়ে পড়ছে পড়ুয়ারা। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ঘুমিয়েও পড়ছে তারা। অবস্থা এতটাই গুরুতর যে বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়েছে।
এই স্ট্রবেরি কুইক যাতে এরাজ্যে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য পুলিশকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
বিভিন্ন স্কুলকে টার্গেট করেছে মাদক চক্র। স্ট্রবেরির মতো প্যাকেটেই মিলছে স্ট্রবেরি কুইক। স্কুলগুলি এধরনের মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা প্রচারও চালাচ্ছে।

তবে নাম করা স্কুলগুলি এধরনের ঘটনা ঘটলেও তা প্রকাশ্যে আনে না। ফলে তা জানতে পারে না, নার্কোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো। তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বিষয়টিকে ঠেকাতে গেলে, চিকিৎসার পাশাপাশি নার্কোটিক কন্ট্রোলব্যুরোর সঙ্গে শিক্ষক এবং পড়ুয়াদের অভিভাবকদের সহযোগিতা লাগবে।
এবছরের শুরুর দিকেও, একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল বেঙ্গালুরুসহ দক্ষিণ ভারতের একাধিক জায়গায়। কী-কী জিনিস পড়ুয়ারা খাবে, কিংবা খাবে না সেই বিষয়ে প্রচার চালানো হয়। কোন কোন খাবার স্কুলে খাওয়া যাবে না, সেই বিষয়েও চালানো হয় প্রচার। একইসঙ্গে নার্কোটিক কন্ট্রোলব্যুরোর তরফেও অনেক স্কুলে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হয়।
'স্ট্রবেরি কুইক' থেকে বাঁচার উপায় :
১) অভিভাবকদের উচিৎ সন্তানের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলা এবং আশপাশের জিনিস সম্পর্কে সচেতন করে দেওয়া।
২) স্কুলে কারও কিছু অস্বাভাবিক মনে করলে শিক্ষক কিংবা স্কুল কর্তৃপক্ষের নজরে আনা
৩) স্কুলের আশপাশে যাতে এধরনের জিনিস না পৌঁছয় সে বিষয়েও স্কুল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকতে হবে।
৪) স্ট্রবেরি কুইক সম্পর্কে কোনও খবর পেলেই পুলিশকে জানানো।